উজ্জ্বল অধিকারী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
জন্মগত ভাবেই সুমন সেরিব্রাল পালসি (সিপি) নামক প্রতিবন্ধিতার ভুগছিলেন। তাঁত শ্রমিক বাবার পক্ষে একটা ওয়াকিং ফ্রেম (ওয়াকার) কেনার মত সামর্থ্য ছিলনা। এমন সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম। পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদটি প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে সুমনের ছবিসহ একটি পোষ্ট দেয়। পরে কানাডা প্রবাসী সুমন জাফরের নজরে পরলে শিশু সুমনের হাঁটা শেখার জন্য একটি ওয়াকার ফ্রেম কিনে দেয়।
সোমবার সকালে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ থেকে সুমনের জন্য তার তাঁত শ্রমিক বাবা আল মাহমুদের হাতে ওয়াকার ফ্রেমটি তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান।
এসময় সাথে ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ গাজী সাইদুর রহমান, সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন আলোকিত বেলকুচির সভাপতি উজ্জল অধিকারী, সুন্দর জীবনের সভাপতি নান্নু তালুকদার, সিএনএন টিভির জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করিম প্রমুখ।
জহুরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক সমাজ সেবক ইমরুল কায়েসের মাধ্যমে আমি জানতে পারি ৬বছরের শিশু সুমনের বাবার টাকা না থাকায় সন্তানকে নিয়ে অনেক কষ্ট করছেন একটি ওয়াকার কিনে দিতে পারছেনা। এর পর আমি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে গিয়ে সুমনের পরিবারের খোজ খবর জেনে পত্রিকায় ও অনলাইনে নিউজ করি। এছাড়া আমার ফেসবুকে একটি ওয়াকারের সাহায্যের আবেদন চেয়ে একটি পোস্ট দেই। এই পোস্টের কারণে কানাডা প্রবাসী সুমন জাফর নামে এক মানবতার সেবক সুমনের হাটা শেখার জন্য একটি ওয়াকার দিয়েছ। ওয়াকারটি আমার হাতে এলে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সুমনের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আশাকরি এই ওয়াকার দিয়ে শিশু সুমন হাটতে পারবে।
বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ গাজী সাইদুর রহমান বলেন, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মানবতার কাজকরে বেশ শুনাম অর্জন করেছে। প্রেসক্লাবের পক্ষথেকে আমরা তার সাধুবাদ জানাই। সে আরও মানবতার কাজ করে এগিয়ে যাক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান বলেন, জহুরুল ইসলাম হচ্ছে মানবতার সেবক। যেখানে অসহায় মানুষের মানবতা বিপন্ন হয় সেখানেই তিনি ছুটে যান। এছাড়া বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের সেবা করে আসছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দারিয়ে তাদের তুলে ধরেন। এ ধরণের সংবাদে প্রশাসনসহ বৃত্তবানরা তাদের পাশে দাড়ায়। প্রশাসন ও বৃত্তবানদের নিকট থেকে যা আসে তা তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে অসহায় মানুষদের হাতে তুলে দেন। জহুরুল ইসলাম তার সততার কারণে সকল শ্রেণির মানুষের আস্তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।