খবর৭১: আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা অনেকেই ভাবি নামাজের উপকারিতা বলতে পরকালের শান্তির কথা বুঝি। আসলে শুধু তাই নয় নামাজে রয়েছে বিশাল উপকার আর এই বিজ্ঞানসম্মত এই উপকারের কথা বলা হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে।
ইসলামই একমাত্র ধর্ম যার সাথে বিজ্ঞানের মিল রয়েছে। কেবল মাত্র পবিত্র কুরআন শরীফের কথা ১০০% এর মধ্যে ৮০% বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পেরেছে। আর বাকি ২০% বিজ্ঞান বের করতে পারেনি কারণ সেটি প্রমাণ করার মত প্রযুক্তি এখনো পৃথিবীতে আসেনি। নামাজের মধ্যে যে কি পরিমাণ বিজ্ঞান লুকায়িত আছে তা নিম্নে বর্ণনা করা হল:
১. নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়।ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।
২. নামাজের যখন আমরা দাঁড়াই তখন আমাদের চোখ জানামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩. নামাজের মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।
৪. নামাজের মাধ্যমের আমাদের মনের অসাধারণ পরিবর্তন আসে।
৫. নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।
৬. নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
৭. নামাজে ওজুর সময় মুখমণ্ডল তিনবার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
৮. ওজুর সময় মুখমণ্ডল যেভাবে পরিষ্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয়। ফলে আমাদের মুখের রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।
৯. কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে। এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ থেকে সে বিরত থাকে।
১০. নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১. কেবলমাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয় ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টিশক্তি বজায় থাকে।
খবর৭১/জি: