খবর৭১:মানব পাচার প্রতিরোধে ও মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ব হ্রাসে নানাবিধ শ্রমিক বান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরো জানান, বিশ্বের ১৬৫টি দেশে এক কোটিরও বেশী বাংলাদেশি কর্মী নানা পেশায় কর্মরত আছেন।
সরকার দলীয় সদস্য এনামুল হকের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, বিদেশে যে সমস্ত প্রবাসী কর্মী আনডকুমেন্টেড (পরিচয়পত্রহীন) অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনের মাধ্যমে বৈধকরণ, আইনি সহায়তা দেওয়া এবং দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধ, আনডকুমেন্টেড কর্মীদের বৈধতা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ, মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ব হ্রাসসহ নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসে ৩০টি শ্রম উইং প্রতিষ্ঠা করা, সরকারিভাবে সৌদি আরবে প্রায় ৮ লাখ, মালয়েশিয়ায় ২ লাখ ৬৭ হাজার, ইরাকে ১০ হাজারসহ বহু দেশে স্বল্প ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি জেলে বা ডিটেনশনে আটকে থাকা কর্মীদের আইনি সহায়তা দিয়ে মুক্ত করে দেশে ফেরৎ আনা, প্রয়োজনে মালিক শ্রমিকদের মধ্যে মধ্যস্থতা করা, বিদেশে আটকে পড়া কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই সরকারী উদ্যোগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। আর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫১ হাজার ৯৮ হাজার ৯১৪ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেছে। বিএনপি আমলে সর্বশেষ সময়ে ২০০৬ সালে মাত্র ৯৭টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হতো।
তিনি আরো জানান, এছাড়া গত ২৯ জানুয়ারী জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ইন্টার্ণ প্রেরণ বিষয়ে একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ জনের এটি ইন্টার্ন দল সেদেশে গিয়েছে।
খবর৭১/জি: