খবর ৭১ঃ পরীক্ষার আগেই এসএসসির পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্ন পেয়ে যায় সাভার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এর পর সেই প্রশ্নের উত্তর হাতে লিখে কেন্দ্রে আসে সে।
কিন্তু সেই উত্তর লেখার সময় শিক্ষকের হাতে ধরা পড়ে যায়। এর পর ওই ছাত্রীর খাতা নিয়ে যাওয়ায় দোতলা পরীক্ষা কেন্দ্রের বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সাভারের অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী সাভার ব্যাংক কলোনির বাসিন্দা।
তার মা বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে তার মেয়েকে বহিষ্কার করায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তার দুই পায়ের কয়েকটি হাড় ভেঙে গেছে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সাভার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিচ্ছিল।
সে বাড়ি থেকে পদার্থবিজ্ঞানের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পেয়ে তার উত্তর বাম হাতে লিখে নিয়ে আসে।
কেন্দ্রে এসে তা দেখে লেখার সময় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন তা দেখে ফেলেন।
তিনি ওই ছাত্রীর খাতা নিয়ে নেন। পরে ওই ছাত্রী অনেক কাকুতি-মিনতি করেও আর পরীক্ষা না দিতে পারায় স্কুলের দোতলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সাভারের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল হাসান ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে যান।
ঘটনার বিষয়ে সাভার অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গমেজ বলেন, ওই ছাত্রী ফেসবুকের মাধ্যমে কুষ্টিয়ায় তার এক বন্ধুর কাছ থেকে আজকের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পেয়েছিল বলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকার করেছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমজাদুল হক জানান, মেয়েটির পায়ের অ্যাঙ্গেল জয়েন্টে মাল্টিফ্র্যাকচার হয়েছে। দ্রুত তাকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ