খবর৭১: বহুল আলোচিত ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার রায় আগামী ১৩ মার্চ ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার ষষ্ঠ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আমিনুল হক রায় ঘোষণার জন্য এই দিন নির্ধারণ করেন। আজ মামলায় জামিনে থাকা পাঁচ আসামিকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্যগ্রহণ, সাফাই সাক্ষীর জেরা শেষ হওয়ার পর ২৮ জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রপক্ষে ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। আজ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি হাফেজ আহম্মদ জানান, এ মামলায় ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার চার্জশিটভুক্ত ৫৬ জন আসামির মধ্যে ১৬ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন। স্বীকারোক্তি দেয়া ১৬ জনের মধ্যে হেলাল উদ্দিন নামে একজন পরে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া মামলার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীরাও একরামুল হকের গাড়ির গতিরোধ, গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা বর্ণনা দিয়েছেন।
পিপি হাফেজ আহম্মদ আরও জানান, মামলার চার্জশিটভুক্ত ৫৬ আসামির মধ্যে বর্তমানে ১৯ জন কারাগারে আছেন। এছাড়া জামিনে থাকা মো. সোহেল ওরফে রুটি সোহেল নামে একজন আসামি ইতিমধ্যে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় দিবালোকে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে গাড়ির গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় একরামের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেছিলেন।
খবর৭১/এস: