খবর ৭১: কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেছেন, খালেদা জিয়া একজন সাধারণ বন্দী। তাই তিনি সাধারণ বন্দীর মতোই আছেন।
তিনি জানান, ১৯৬৪ ও ২০০৬ সালের কারাবিধি অনুযায়ী বর্তমানে যারা বর্তমান সংসদ সদস্য তারাই ডিভিশন পান। সাবেক প্রেসিডেন্টও পান। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পান না।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় কারা অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়াকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য একজন নারী ডিপ্লোমা নার্স ও চারজন নারী কারারক্ষী আছেন। তাকে সাধারণ কয়েদিদের মতো খাবার দেয়া হচ্ছে। তবে বাইরে থেকে তাকে ড্রাই ফুড (শুকনা খাবার) দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে ব্যক্তিগত কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি।
আইজি প্রিজন আরও বলেন, ডিভিশন দেয়ার সিদ্ধান্ত আদালতের। সাধারণত আদালত যদি কাউকে তাকে ডিভিশন দেন, সরকার সেটা বিবেচনা করে ডিভিশন দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। সকালে ডিভিশনের বিষয়ে আদালতে একটা শুনানি হয়েছে শুনেছি। তবে নির্দেশনা সংক্রান্ত কোনো কাগজ আমরা এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী ডিভিশন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।
এর আগে আজ রোববার সকালে আইনজীবীদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী ডিভিশন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেওয়ার পর খালেদা জিয়ার ঠাঁই হয়েছে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। ওই কারাগারের সাবেক প্রশাসনিক ভবনের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়কের দফতরটিকে তার থাকার উপযোগী করা হয়েছে। ওই কক্ষে খালেদা জিয়া একা থাকছেন। তার সেবার জন্য দীর্ঘদিনের গৃহকর্মী ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার ব্যাপারে আদালতের আদেশ এখনো হাতে পায়নি বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।