খবর ৭১:পরীক্ষা শুরু হতেই সদ্যোজাত শিশুর কান্নার আওয়াজ। কিন্তু পরীক্ষা তো হচ্ছে দ্বাদশ শ্রেণির, বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসবে কেন! এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ পরীক্ষকের। তিনি দেখেন, এক মহিলা সদ্যোজাতকে নিয়ে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে এবেলাডটইন। খবরে বলা হয়েছে, বুধবার ভারতের বিহারে স্কুল পরীক্ষার বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালীন দেখা যায়, এক মহিলা কোলে করে সদ্যোজাতকে নিয়ে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। এই ঘটনা দেখে কার্যত ঘাবড়ে যান উপস্থিত পরীক্ষক।
ওই মহিলার নাম ববিতা কুমারী। বিহারের সারন জেলার বাসিন্দা তিনি। মাত্র চার ঘণ্টা আগেই একটি সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু কোনোভাবেই ববিতা পরীক্ষায় বসার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। তাই প্রসবের ৪ ঘণ্টা পরেই তিনি চলে আসেন পরীক্ষা দিতে।
যে স্কুলে পরীক্ষা চলছিল সেখানকার প্রধান শিক্ষক ববিতাকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ববিতা কুমারী সেই প্রস্তাব মানেননি। পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেন ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনোদ কুমার। ববিতার ধৈর্য দেখে কুর্নিশ জানান তিনি।
পরীক্ষার ফল যাই হোক না কেন, ববিতার এই চেষ্টাকেই সমর্থন জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। পড়াশোনা ছাড়িয়ে অনেক মেয়েকেই বিয়ে দিয়ে সংসারে মন দিতে বাধ্য করা হয়। সেখানে ববিতার এই প্রচেষ্টা তাদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছেন অনেকে।
খবর ৭১/ ই: