খবর ৭১: দুই জেলায় ২০ দলীয় জোটের ৯ নেতাকর্মী আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যের হবিগঞ্জ থেকে আট হয়েছেন ২ জন ও মেহেরপুর থেকে আটক হয়েছেন ৭ জন।
হবিগঞ্জে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর কবরস্থান এলাকা থেকে রোববার দিবাগত রাত ৩টার সময় টহল পুলিশ সৈয়দ মুশফিক আহমেদকে আটক করে।
এছাড়া, ভোর ৪টায় শহরের উমেদনগর এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে হাফিজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক ছাত্রদল নেতাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে, মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর পর্যন্ত সদর ও গাংনী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে দুই থানার পুলিশ।
এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানায় ৪ বিএনপি কর্মী ও গাংনী থানায় ২ বিএনপি এবং ১ জামায়াত কর্মী রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ৪ নেতাকর্মী আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে গোপন বৈঠকের সময় বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার স্টেশন রোড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, আবদু মিয়া, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও সমর্থক সালাম মিয়া।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার আরটিএনএনকে জানান, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসনের মামলার রায়কে সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু আসিফ আহমেদের বাসায় গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির চার নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
খবর ৭১/ইঃ