খবর৭১: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি বিধ্বস্ত দেশকে দাঁড় করাতে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তিনি যদি আরও ৩-৪ বছর সময় পেতেন তাহলে দেশ পিছিয়ে থাকতো না, এগিয়ে যেতো।’
রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে কিভাবে পরিচালিত করতে হবে তার দিকনির্দেশনা তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন। এজন্য তিনি প্রথম শিক্ষা ব্যবস্থায় হাত দেন। তিনিই প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করেন। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যেখানে শিক্ষার কথা উল্লেখ করেন।’
‘মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে জাতির পিতা মাত্র কয়েক বছর সময় পেয়েছিলেন। তিনি তখনই প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছিলেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাদের শিক্ষাও অবৈতনিক করেছিলেন। আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই কাজ করে যাচ্ছি। প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষার প্রসারে আমরা বহুমুখী ব্যবস্থা নিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু তিনি শুধু স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ করে দিতেই সেই ব্যবস্থা শুরু করেন। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র বলতে যদি তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ করে দেওয়াকে বোঝান, তাহলে এখানে আমার কিছু বলার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। তিনি যদি ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারতেন তাহলে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে আজ অনেক উন্নয়ন হতো। ক্ষমতায় এসে আমরা শিক্ষারও ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম। এটা ছাড়া কোনও জাতি শিক্ষিত হতে পারে না, এগিয়ে যেতে পারে না। ড. কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন বঙ্গবন্ধুর হাতে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার সময় পাননি। তার আগেই তাকে হত্যা করা হয়।’
খবর৭১/এস: