খবর ৭১:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা আপাতত বাড়ানো সম্ভব নয়।
তিনি আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার কোন পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। ভবিষ্যতে এ বিষয়টি দেখা যাবে। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন অবসরসীমা বাড়ানো হয়নি। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৬০ বছর করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নীচের স্তরে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে এবং নতুনদের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ কমে যায়। তাই যত বেশি অবসরের বয়স বাড়ানো হবে তত চাকরিতে প্রবেশ কমে যাবে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার সেমিস্টার সিস্টেম করে দেয়ায় এখন তেমন সেশনজট নেই। ফলে চাকরিতে প্রবেশের জন্য এখন অনেক সময় পাচ্ছে।
তাই এখন আর অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই।
সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের ভেতরে বিনিয়োগের জন্য সরকার সকল সুযোগ-সুবিধাই নিশ্চিত করেছে। কিন্তু দেশে বিনিয়োগ না করে যারা অর্থ পাচার করতে চায় তারা তো তা করতেই চাইবে।
তিনি বলেন, টাকা পাচার করলে সরকার তা শনাক্ত করে দেশে ফেরত আনছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকো’র পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়েছে। অন্যরা যারা অর্থ পাচার করছে তা দেশে ফেরত আনতে সরকার যথেষ্ট তৎপর রয়েছে।
খবর ৭১/ এস: