তালা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক আহম্মদ আলীর বিরুদ্ধে রোগী বহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

0
571

সেলিম হায়দার :
তালা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সের চালক আহম্মদ আলী পলাশের বিরুদ্ধে এবার রোগী সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের ভয়ে সুচতুর চালক আহম্মদ গাড়ির ত্রুটি দেখিয়ে হাসপাতালে ফেলে রেখেছে বলে দাবি করেছে এশাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।
ইতোমধ্যে হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের সামনে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচীও পালন করেছেন। যার রেশ কাটতে না কাটতেই হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক আহম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বিপদগ্রস্থ রোগী সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তালার সামগ্রীক স্বাস্থ্য সমালোচনায় রীতিমত নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সূত্র জানায়,তালার পাটকেলঘাটা এলাকার চোমর খালী গ্রামের ইমাদুল সরদারের ছেলে আহম্মদ আলী ২০০৯ সালে তালা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে যোগদানের পর থেকে অদ্যবধি এমনিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত আদায় করেছেন। সূত্র জানায়, সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রতি কিঃমিঃ ১০ টাকা হারে টাকা নেয়ার কথা থাকলেও চালক সরকারি নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। ভাড়া নিয়ে প্রায়ই তাকে বিপদগ্রস্থ রোগীদের স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে দেখা যায়। অভিযোগে আরো জানাযায়,বিস্তীর্ণ জনপদের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসা তালা হাসপাতাল। উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেও হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ রোগী আসেন এখানে। বিভিন্ন সময় আগত রোগীদের মধ্যে আশংকাজনক অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা জেলা সদর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জরুরী ভিত্তিতে ঐসকল রোগীদের অন্যত্র নিতে এ্যাম্বুলেন্স চালক আহম্মদ লুফে নেন সুযোগ। কখনো কখনো রোগীদের সাথে দরকষাকষি করতে দেখা যায় তাকে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর স্বজনরা কোন কিছু না বুঝেই তার চাহিদা মাফিক অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা বুঝে দিয়ে রোগী নিয়ে চলে যান কাঙ্খিত চিকিৎসালয়ে।
এদিকে হাসপাতাল নিয়ে পত্রিকান্তে ব্যাপক সংবাদ প্রকাশের এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধেও সংবাদ প্রকাশিত হতে পারে এমন আশংকায় গত ২৫ জানুয়ারী এ্যাম্বুলেন্সের ত্রুটি দেখিয়ে কতৃপক্ষের নিকট বুঝে দিয়েছেন ঐ ধূর্ত চালক আহম্মদ। এর পর থেকে জরুরী প্রয়োজনে রোগী সাধারণকে অন্যত্র নিতে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঘটনার পর তালার ঘোষনগর এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনার পর আক্রান্ত ৩ জনকে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর এলাকাবাসী বাধ্যতামূলক ইঞ্জিন ভ্যানযোগে হাসপাতালে নেয়। সূত্র আরো জানায়, আহম্মদ আলীর গাড়ি বা এ্যাম্বুলেন্স পড়ে থাকলেও বন্ধ নেই তার অতিরিক্ত ইনকাম। স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে আগত রোগীদের উঠিয়ে দিয়ে আদায় করছেন কমিশন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত চালক এ্যাম্বুলেন্স চালক আহম্মদ আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,তার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করছে। এব্যাপারে তালা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ কুদরত-ই-খুদা জানান,বিষয়টি তার জানা নেই।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here