৪ বছরে ১৭৪ সংসদ সদস্যকে প্লট এবং ৫ জনকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ

0
366

খবর৭১:সরকার বিগত ৪ বছরে ১৭৪ সংসদ সদস্যকে প্লট এবং ৫ জনকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছে। একই সময়ে সারাদেশে প্লট পেয়েছেন ২৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধা।

গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলন। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, বর্তমান সরকারের আমলে রাজধানী, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উল্লেখিত ১৭৯ জন সংসদ সদস্য প্লট ও ফ্ল্যাট পেয়েছে। তিনি আরো মন্ত্রী জানান, এই ৫ সংস্থার মাধ্যমে বিগত ৪ বছরে ৫ হাজার ৫৯৯টি প্লট ও ৯ হাজার ৯২৮টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার বিক্রয় মূল্য ৪ হাজার ৮২৩ কোটি ৭৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

জাসদের নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ মন্ত্রী জানান, একই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ওই ৫ সংস্থা মোট ২৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধার নামে বিভিন্ন আয়তনের প্লট বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাজশাহী, কুষ্টিয়া, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রামে প্লট পেয়েছে ১ দশমিক ৭৪ কাঠা থেকে সর্বোচ্চ ৫ কাঠার প্লট পেয়েছে মোট ১৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। এ ছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৩ কাঠা থেকে ৫ কাঠার প্লট পেয়েছেন ৫২ জন। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একই আকারের প্লট পেয়েছেন ৪৩ জন।

এ ছাড়া রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ১৭ জন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আরো ৪ মুক্তিযোদ্ধা প্লট পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ফিরোজা বেগম চিনুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের দু’টি প্রকল্পের ৫২৪টি ফ্ল্যাট চলতি অর্থবছরে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শেরেবাংলা নগরে বহুতল বিশিষ্ট ৪৪৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিচারপতিদের জন্য তৈরি করা সুউচ্চ আবাসিক ভবনে রয়েছে ৭৬টি ফ্ল্যাট। তিনি আরো জানান, চলতি অর্থবছরে আরো দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৯৮৮টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করবে সরকার। এর মধ্যে আজিমপুরে ৪৫৬ ও মতিঝিলে ৫৩২টি ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। এ ছাড়াও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ লালমাটিয়ার নিউ কলোনি ও হাউজিং এস্টেটে আরো ২৭৯টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে। যার মধ্যে ৫৪টি নিজস্ব কর্মচারীদের কাছে বিক্রি করা হবে।

আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আবদুল্লাহ তার প্রশ্নে অভিযোগ করেন, শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁওয়ে ইএফজি ও এইচ টাইপ কোয়ার্টারে সংসদ সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাস করেন। তারা নিয়মিত পয়ঃ ও পৌর কর পরিশোধ করলেও তাদের কোয়ার্টারের ড্রেন ও স্যুয়ারেজের লাইনগুলো স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মিরা নিয়মিত পরিষ্কার করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। ‘

এ ব্যাপারে অবিলম্বে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি’না তা জানতে চাইলে মন্ত্রী দাবি করেন, ওই ড্রেন ও স্যুয়ারেজের লাইনগুলো গণপূর্ত অধিদপ্তর নিয়মিত পরিষ্কার করে। বরং কোয়ার্টারগুলোসহ আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারীরা নির্দিষ্ট স্থানের বদলে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় ড্রেন ও স্যুয়ারেজের লাইনগুলো পরিচ্ছন্ন রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওই আবর্জনার কারণে ড্রেন ও স্যুয়ারেজ লাইন প্রায়ই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, গণপূর্তের জনবলের স্বল্পতার কারণেও ড্রেন ও স্যুয়ারেজের লাইন পরিষ্কার রাখা কষ্টসাধ্য হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে মন্ত্রণালয়।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here