খবর৭১:পরীক্ষার সময় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করার কথা বলা হয়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, আমরা এই কথা কখনোই বলি নাই ফেসবুক বন্ধ করবো।সেই ক্ষমতাও আমাদের নেই। গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগে প্রশ্নপত্র বিজি প্রেস থেকে ফাঁস হয়ে যেত। সেখানে নানা ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে এখন আর সেখান থেকে ফাঁস হয় না। তবে দেড় মাস ধরে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা হয়। তাই দীর্ঘদিন হাজার হাজার কেন্দ্রে পাহারা দিয়ে প্রশ্ন রাখা বড় কঠিন কাজ। ওই প্রশ্নগুলো যখন স্কুলে পৌঁছায়, কিছু শিক্ষক রয়েছেন যারা বিলির আগে প্রশ্ন খুলে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধমে পাঠিয়ে দেন। আমরা এই জায়গাটাতে আটকে গেছি। তাই বলেছি বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেসন রেগুলেটরি কমিশন) সঙ্গে আলাপ করবো।
তারা ওই প্রক্রিয়ায় কোনো সহযোগিতা করতে পারেন কিনা। ‘
মন্ত্রী বলেন, ‘বিটিআরসিকে বলেছি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বা কয়েক ঘণ্টার জন্য তারা ফেসবুক বন্ধ রাখতে পারেন কিনা। এটা নিয়েই আলাপ করেছি। বিটিআরসি জানিয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে এসব প্রশ্ন আসে। তাই পরীক্ষার সময় তারা বিষয়টি নজরদারির জন্য লোক নিয়োগ করবেন। ‘
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার সময় যদি কিছু হয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাবেন। পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমরা কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে ফেলবো এই কথা বলতে পারি না। বিটিআরসি বলেছে সহযোগিতা করবে। তারা বলেছে এগুলো বন্ধ না করেও তারা অন্যভাবে সহযোগিতা করতে পারবে। ‘
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র আপলোডকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা করা হয়েছে। ‘
পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ (সংশোধিত ১৯৯২) এর ৪ অ ধারা অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধীকে ন্যুনতম তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর রয়েছে। ‘
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধীদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র আপলোডকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা করা হয়েছে। ‘
খবর৭১/জি: