খবর৭১:বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদে এখন ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রাখার বিধান রয়েছে এবং আগামী বছর জানুয়ারিতে এ বিধানের মেয়াদ শেষ হবে। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন রাখার বিধানটির মেয়াদ বৃদ্ধি করে একটি সংবিধান সংশোধনী আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
তবে তার আগেই সরকার অন্তত পরবর্তী চারটি সংসদের জন্য সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে সংবিধানে নতুন সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু বলেছেন বর্তমান সংসদের শেষে নারী আসনের কার্যকারিতা থাকবেনা। সে কারণেই সপ্তদশ সংশোধনী এনে ৫০ জন নারী সদস্য নির্বাচনের বিধান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সংসদ গঠিত হবে ৩০০ সরাসরি নির্বাচিত সদস্য ও ৫০ জন নারী সদস্যকে নিয়ে। সে কারণেই এটা করতে হবে। নাহলে এটা পূর্ণাঙ্গ সংসদ হবেনা। কিন্তু এ সংশোধনীর সময়ে নারী সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই বলেই জানান খসরু। কিন্তু এখন সরাসরি নির্বাচন না করে সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তিনশ সদস্যের মধ্যে নারী কেউ নির্বাচিত হলে ভালো। মোট জনসংখ্যার অর্ধেক হলো নারী সে কারণে নারীদের সংখ্যা বাড়ানো উচিত।
তবে সব বড় দলগুলো থেকে নারীদের আরও বেশি মনোনয়ন দেয়া হলে সংসদে তাদের সংখ্যা আরও বাড়বে।
আজই মন্ত্রীসভার বৈঠকে সংশোধনীর খসড়া নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রীসভার অনুমোদন পেলে প্রস্তাবটি বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করবে আইন মন্ত্রণালয়। সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়াম লীগ সরকারের রয়েছে। তবে সপ্তদশ সংশোধনীকে নারী সদস্যদের মেয়াদ বাড়ানোর ছাড়া আর কোন বিষয় রয়েছে কি-না সেটি বিস্তারিত জানানো হয়নি সরকারের তরফ থেকে। বর্তমান সরকারের আমলে সংবিধানের শেষ সংশোধনী আনা হয়েছিলো ২০১৬ সালে যেটি ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত। যদিও পরে সর্বোচ্চ আদালত ওই সংশোধনীকে অবৈধ বলে রায় দেয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে তুমুল সরগরম হয়ে উঠেছিলো রাজনৈতিক অঙ্গন।খবর৭১/জি: