ইবি প্রতিনিধিঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-উর রশিদ আসকারীর গাড়ি হামলা চালিয়েছে কথিত সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে তিনটায় ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপাধীন বড়দাহ নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় অক্ষত আছেন উপাচার্য ও তার গাড়ি চালক।
উপাচার্য জানান, ‘ঢাকা থেকে রাত দশটায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমার সাথে ছিলো পি.এস রেজাউল করিম ও গাড়ি চালক ফরহাদ। আমি সাধারণত কুষ্টিয়া হয়ে আসলেও এদিন ঝিনাইদহ হয়ে আসি। পথিমধ্যে রেজাকে বাড়িতে নামিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য যাত্রা করে গাড়াগঞ্জ পার হয়ে বড়দাহ নামক স্থানে পৌছালে রাস্তার মাঝে বিশাল গাছ দেখতে পাই। হঠাৎ তিন-চারজন সন্ত্রাসী রামদা দিয়ে গাড়িতে হামলা করে এবং বাম পাশের দুটি গ্লাস ভেঙে ফেলে। তখন আমার ড্রাইভার গাড়িটি একটু সামনের দিকে নিয়ে গেলে আমি ও আমার ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে লুকিয়ে থাকি। একটু পরে সন্ত্রাসীরা আমাকে খুঁজে বের করে আমার কাছ থেকে টাকা চায়। আমি তাদেরকে গাড়িতে যেয়ে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে আমাকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে তারা চলে যায়। এসময় আমার কাছে ল্যাপটপ থাকলেও তারা তা নিতে অস্বীকার করে। তবে আমার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন হারিয়েছে। এরপর তারা চলে গেলে আমি গাড়ি থেকে নেমে পার্শ্ববর্তী গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাচ্চু নামের এক কর্মচারীর বাড়িতে আশ্রয় নিই। এরপর কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পুলিশ প্রশাসন আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।’ এসময় তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, ঘটনাটি ডাকাতি নাকি পরিকল্পিত বুঝতে পারছি না, কারণ এসময় অন্য কোনো গাড়িতে হামলা হয়নি।
এ বিষয়ে ড্রাইভার ফরহাদ বলেন, ‘আমি গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পাশের জঙ্গলে আশ্রয় নিই। একটু পরে পুলিশ আসলে তাদেরকে ঘটনাটি খুলে বলি এবং আমার স্যারকে বাঁচানোর অনুরোধ করি এবং প্রক্টর স্যারকে ফোন করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করি। তারা স্যারকে উদ্ধার করে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার মূলৎপাটন করে, জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি গ্রহণের জন্য এবং স্যারের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের উচ্চ মহলকে অনুরোধ করেছি।’
এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ‘ঘটনা শোনার সাথে সাথে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছাই। ভিসি স্যারকে তার গাড়িসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছে দেই। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বের করতে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে।’
এ ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইবি প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক সমিতি, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাপলা ফোরাম, ছাত্র ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
খবর ৭১/ইঃ