খবর ৭১:শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো কোনদিনও রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। রাজনীতির পদ-পদবী পাওয়ার জন্য কারো কাছে ধর্নাও দেননি কখনো বলে অভিমত প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ বলেন, কোকো তার জীবনের পুরোটি সময় ক্রীড়াঙ্গণ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনের খেলোয়াড়দের অতিপ্রিয় ও আস্থাভাজন মুখ ছিল আরাফাত রহমান কোকো।
তারা বলেন, ১/১১’র সেই দুর্বিসহ কালোদিন তার জীবনকে অকালে কেড়ে নিয়েছে। তার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছিল। জিয়া পরিবার বারবার আওয়ামী লীগের আক্রোশের শিকার হয়। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তখন এই পরিবারকে তছনছ ও ধ্বংস করার জন্য এমন কোন প্রতিহিংসামূলক কাজ নেই যা করে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে আরাফাত রহমান কোকো’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দল ঢাকা মহানগর দক্ষিন আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যেদিন প্রিয় নেতার প্রিয় সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়ে বায়তুল মোকাররম থেকে বনানীর দিকে গিয়েছিলাম পিছনে ছিল লক্ষ জনতার স্রোত। সেই স্মৃতি জীবনে কোনদিনও ভুলতে পারবো না। রাজনীতি না করেও তিনি সাধারণ মানুষের কাছে এত জনপ্রিয় ছিলেন ও ভালবাসা পেয়েছিলেন তার একমাত্র কারণ শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার নির্লোভ রাজনীতি। আমরা এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান জানান।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিঞার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, মৎসজীবী দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সদস্য সচিব মো. রজব আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, আবুল বাশার বাবুল আকন, মহিলা দলের নেত্রী রাজিয়া সুলতানা শিউলী, রহিমা ইসলাম, মাওলানা আবদুল আলিম, দেশবাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা মো. জিয়াউল হক আনোয়ার, গোলাম সরোয়ার সরকার, পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।
খবর ৭১/ ই: