মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ আলোচিত সুজন হত্যাসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামী ইলিয়াছ আলী শোডাউন করে উচ্চ আদালতের জামিনের কাগজ জমা দিয়েছে জেলা জজ আদালতে। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আতংক দেখা দেয়। আদালতে তিনি এসেছিলেন সরকারি এম্বুলেন্সে চড়ে। সাথে ছিল ১০/১৫টি মাইক্রোবাস ও ৩০/৩৫টি মোটরসাইকেলে করে শতাধিক যুবক। তারা আদালত প্রাঙ্গণে উচ্চ স্বরে স্লোগান দেয়। শায়েস্তাগঞ্জের ইলিয়াছ আলীর বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলা রয়েছে। হবিগঞ্জ কারাগারে আটক থাকাকালে তিনি পৌর মেয়র জি কে গউছের উপর হামলা করেছিলেন। ইলিয়াছের সাথে আসা কয়েকজন যুবক জানায়, তারা হাইকোর্টের জামিনের কাগজ আদালতে জমা দিতে এসেছিলেন। তারা সবাই ইলিয়াছের ভক্ত। একারণেই সাথে এসেছেন।এ ব্যাপারে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল হক চৌধুরী জানান, দীর্ঘ আইনপেশার জীবন ও রাজনৈতিক জীবনে এমন দুঃসাহসিক কর্মকান্ড দেখেননি। ইলিয়াছ আলী শ্লোগান সহকারে বীরদর্পে আদালত থেকে বের হয়ে যায়। জানা যায়, ২০১৪ সালে নিরীহ যুবক সুজন হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় সে কারাগারে যায়। এরপর থেকে সে কারাগারেই ছিল। ২০১৫ সালের ঈদুল ফিতরের দিনে কারাগারের ভেতরে নামাজের পর পৌর মেয়র আলহাজ্ব জিকে গউছের উপর হামলা চালায়। সে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিরামচর গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার বিকেলে হঠাৎ মোটরসাইকেলের হর্ণ ও সাইরেনের শব্দে আদালত প্রঙ্গণে আতংক দেখা দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ইলিয়াছ আলী শতাধিক যুবককে নিয়ে গাড়ির মহড়া দিয়ে ফিল্মি স্টাইলে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। তিনি সরকারি একটি এম্বুলেন্স থেকে নেমে শ্লোগান সহকারে আদালতের দ্বিতীয় তলায় উঠার চেষ্টা করে। এ সময় কোর্ট পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয়। তখন তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ইলিয়াছ লোকজন নিয়ে ফিরে আসেন। এ সময় আদালতে বিচার প্রার্থী ও কর্মচারিদের মাঝে আতংক দেখা দেয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জজ কোর্টের বেশ কয়েকজন কর্মচারি, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জানান, তাদের কর্মজীবনে জজ কোর্টের ভেতরে শ্লোগান সহকারে কাউকে আসতে দেখেননি। এদিকে সুজন হত্যা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা তার এই আচরণ দেখে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। সুজন হত্যা মামলার বাদী আলী আকবর শিপন জানায় তার শোডাউনে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ সময় তাদের মাঝে উৎকন্ঠা কাজ করে।
খবর ৭১/ ই: