খবর ৭১: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে বিএনপিরও প্রতিনিধি রয়েছে। ইসি’র নিরপেক্ষতার স্বীকৃতি তো তারা (বিএনপি) আগেই দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, তারা (বিএনপি) ইসি’র প্রতি আগেই তাদের আস্থার কথা জানিয়েছে। আর এখন তারা ভিন্ন কথা বলছে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্যান্য সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে সরকার যেভাবে দায়িত্ব পালন করে এবং প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভার সদস্যরা যে ভূমিকা পালন করে আমাদের দেশেও সেই ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, এ সময় সরকার শুধুমাত্র তার রুটিন ওয়ার্ক করবে, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। এ সময় নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ক্ষমতাই সরকারের কাছে থাকবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার দায়সারা পালন করে থাকে। এ সরকার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সহায়ক সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপির নেতারাই জানেন না, আসলে তারা কোনো ধরনের নির্বাচনকালীন সরকার চান।
তিনি বলেন, তারা কখনো নির্বাচন সহায়ক সরকার, আবার কখনো নিরপেক্ষ সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেন। এ তিনটির মধ্যে তারা কোনো ধরনের সরকার চান তা তারা পরিষ্কার করতে পারেন নি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সিনিয়র সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালে সরকার প্রধান থাকবেন। তিনি কিভাবে এ সরকারের রূপরেখা দেবেন? বাসস