খবর৭১: সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহর একমাত্র পুত্র অনিক আজিজের (২৬) মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। এর আগে পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনেও এমপি পুত্রের শরীরে আত্মহত্যার চিহ্নের থাকার কথা জানানো হয়েছিল।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ৫ নম্বর ভবনের (এমপি হোস্টেল) ৬০৪ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ অনিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গনেশ গোপাল বিশ্বাস লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের তার গলায় পেঁচানো অবস্থায় অনিকের দেহ শোবার ঘরের ফ্যান থেকে ঝুলছিল। তার শরীরে আর কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ১টায় লাশ নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক এ এম সেলিম রেজা বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদনে আত্মহত্যার যে সন্দেহের কথা বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তেও আমরা সে রকম আলামত পেয়েছি। তার শরীরে কোনও দাগ নেই।’
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে কী ছিল জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, ‘লেখা ছিল গলায় তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা। আমার ফাইন্ডিংসেও তাই পাওয়া গেছে।’
সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মফিজুল হক জাহাঙ্গীর জানান, ন্যাম ভবনে সংসদ সদস্য তার দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন। স্ত্রী সাধারণত সাতক্ষীরাতেই থাকেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সাতক্ষীরার নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে রবিবার ভোরেই ঢাকায় ফেরেন। ফ্ল্যাটে এসে তিনি ছেলেকে ডাকলেও কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। তখন ঘরের মধ্যে ছেলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান বলে জানান মফিজুল হক জাহাঙ্গীর।
পরিবারের ধারণা, রাতের কোনও এক সময় অনিক আত্মহত্যা করেছে। তবে কী কারণে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
অনিক আজিজ এমপি লুৎফুল্লাহর একমাত্র ছেলে। তিনি দুই ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। অনিক খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে বিএসসি শেষ করে ঢাকার ড্যাফডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি পড়ালেখা করছিলেন।
খবর৭১/এস: