খবর৭১:সৌদি আরবের উত্তরাধীকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটির মুখপাত্র আহমাদ বিন শামসি ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধের দায়দায়িত্ব সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর বর্তায়।
ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত দৈনিক গার্ডিয়ানও কিছুদিন আগে এক প্রতিবেদনে সৌদি যুবরাজকে ইয়েমেনে রক্তপাতের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। প্রতিবেদনে আরো লেখা হয়েছে, গত কয়েক মাসের ঘটনাবলীতে প্রমাণিত হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্থাৎ রাজার পদে অধিষ্ঠিত হলে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। এমনকি সালমানের কর্মকাণ্ডের কারণে খোদ সৌদি আরবের পরিণতিও ভালো হবে না।
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, মোহাম্মদ বিন সালমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর সৌদি আরবের শাসন ব্যবস্থা চরম স্বৈরাচারী রূপে আবির্ভূত হয়েছে এবং এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্র ক্ষেত্রেও সৌদি আরবের নীতি হস্তক্ষেপমূলক। দেশটি আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে অত্যন্ত আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। তার ভুল ও আগ্রাসী পররাষ্ট্র নীতির কারণে বিপর্যয় ছাড়া আর কিছুই অর্জিত হয়নি এবং সৌদি আরবের অবস্থা আগের চেয়ে আরো বেশি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে দেশটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবেও কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
এ ছাড়া, মোহাম্মদ বিন সালমান রাজার পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য পথ পরিষ্কার করতে তার সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন তা যথার্থ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
খবর৭১/জি: