উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে নড়াইলের পানিপাড়া অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবে ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আদালতে মামলাধীন অরুনিমা রিসোর্টের একটি জমিতে প্রতিপক্ষ পাশ্ববর্তী খাশিয়াল গ্রামের মিজানুর বিশ্বাস স্যালোমেশিনের পাইপ (বোরিং) বসাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় অরুনিমা রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, অরুনিমা রিসোর্টের একটি জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। মামলার রায়ও তার (খবির উদ্দিন) পক্ষে রয়েছে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাশ্ববর্তী খাশিয়াল গ্রামের জনৈক মিজানুর রহমান ওই জমিতে স্যালো মেশিনের পাইপ বোরিং করছিলেন। এসময় আমাদের লোকজন বাঁধা দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। আত্মরক্ষার্থে আমাদের পার্কের লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়া হয়। ছররা গুলির ভয়ে তারা পালিয়ে যায়। তবে আহত হয়েছে কিনা জানা নেই। তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও মিজানুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে আমার ছেলে ইরফানসহ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে। ওই ঘটনায় আদালতে মামলাও রয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রটিকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখে এই চক্রটি’’। ওই জমির মালিকানা দাবি করে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে বলেন, ‘‘১৮ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই জমিতে স্যালো মেশিন বসানোর সময় খবির উদ্দিনের লোকজন হামলা চালিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর গুলি চালায়। এতে ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে’’। নড়াইলের কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বেলায়েত হোসন আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ঘটনা শোনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে ঘটনাস্থলে আহত বা গুলিবিদ্ধ কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকজন আহত হওয়ার কথা শুনেছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খবর ৭১/ ই: