উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের বনগ্রাম বাজারের সার ও কীটনাষকের দোকান থেকে হায়াতুর মোল্যার ছেলে জুয়েল মোল্যাকে (৩০) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টায় এসআই শিমুলের নেতৃত্বে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ২ কেজি ২শো গ্রাম গাঁজা ও ৪ শত পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় এসআই অখিল বাদী হয়ে মাদক আইনে কালিয়া থানায় ২জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। নড়াইলে কর্মরত পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি কে জানান, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বনগ্রাম বাজারের সার ও কীটনাষকের দোকান থেকে ২ কেজি ২শো গ্রাম গাঁজা ও ৪ শত পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয় নড়াইলকে ইয়াবা মুক্ত করতে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে তিনি সমাজের সুধীমহলসহ সাংবাদিকদের সার্বিক সহেযাগিতা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। অপর দক ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানায়, জুয়েল যদি মাদকদ্রব্যসহ আটক হয় তাহলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু পুলিশ প্রতিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাকে রাতভর থানায় আটকে নির্যাতন করেছে, যেটা সম্পূর্ণরূপে বেআইনী। তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করবেন বলেও জানিয়েছেন। নড়াইলের কালিয়ায় ওসি’র নির্দেশে আসামিকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শমসের আলীর নির্দেশে হাজতখানার অভ্যন্তরে এক আসামিকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই আসামির নাম জুয়েল মোল্যা (৩২)। সে কালিয়া উপজেলাধীন বনগ্রামের হায়াতুর মোল্যার ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে থানায় নিয়ে ওসি’র নির্দেশে কালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জুয়েলকে বেধড়ক পিটিয়েছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে জুয়েলকে বনগ্রাম বাজার থেকে মাদকসহ আটক করে কালিয়া থানা পুলিশের একটি টিম। আটকের পর তাকে নিজ এলাকাতেই মারপিট করতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। খবর পেয়ে জুয়েলের ভাই নড়াইলে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী হিমেল মোল্যা কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শমসের আলীকে মুঠোফোনে তার ভাইকে মারপিট না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। পরিস্থিতি সামলে নিতে ওসি তাৎক্ষণিকভাবে আসামি জুয়েলকে মারতে নিষেধ করলেও তাকে থানায় নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও জুয়েলের ভাই সাংবাদিক শুনে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেশি বেশি মারপিট করার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন। পুলিশ সদস্যরা নির্যাতনের পর তাকে কালিয়ায় নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, জুয়েল যদি মাদকদ্রব্যসহ আটক হয় তাহলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু পুলিশ প্রতিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাকে রাতভর থানায় আটকে নির্যাতন করেছে, যেটা সম্পূর্ণরূপে বেআইনী। তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করবেন বলেও জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শমসের রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জুয়েলকে থানায় কোনো মারধর করা হয়নি। এলাকাবাসী তাকে মারপিট করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ওসি’র বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, কোনো এলাকাবাসী জুয়েলকে কোনো প্রকার আঘাত করেনি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বলেন, ।
খবর৭১/এস: