ঢাবিতে ভাঙচুর ও প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় মামলা

0
318

খবর ৭১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখা ও কলাপসিবল গেট ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান খান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন লাখ টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শাহবাগ থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মঞ্জুর হোসেন মানিক বলেন, প্রক্টরের কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আজ এই মামলাটি করেন। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন লাখ টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনা ও রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে ভাঙচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয় মিছিলকারীরা। সেখান কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে ফের টিএসসি এসে মিছিলটি শেষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। জোর দাবি জানান মামলা প্রত্যাহারের। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর বড় সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের চলমান কর্মসূচিতে ছাত্রীদের নিপীড়ন, আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ককে উপাচার্যের কার্যালয়ে মারধর এবং অন্যদের হেনস্তার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

সোমবার বিকেলে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখার নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রদের হুমকি এবং ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও গালাগাল করেন। তারা আন্দোলনের সমন্বয়কারী মশিউর রহমানকে উপাচার্যের কার্যালয়ে মারধর করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে থানায় সোপর্দ করে। এসবের প্রতিবাদে গতকাল আবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব ঘটনার বিচার দাবি করা হয়। এতে যোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম সংগঠনগুলো। তারা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনের কলাপসিবল গেট ভাঙচুর করে। ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে প্রক্টর গোলাম রব্বানীকে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here