খবর৭১:ইতিহাস আর পরিসংখ্যান পরিস্কার সাক্ষী, জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা বাঁ-হাতি স্পিনে তুলনামূলক দুর্বল। আর ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামা গ্রায়েম ক্রেমার বাহিনীর ১১ জনের ১০ জনই ছিলেন ডানহাতি।
তাই তিন পেসার মাশরাফি, মোস্তাফিজ আর রুবেল হোসেনের সঙ্গে দুই বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও সানজামুল ইসলামকে নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ওই টিম কম্বিনেশন সফলও হয়েছে। বাঁ-হাতি স্পিনের বিপক্ষে জিম্বাবুইয়ানদের দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা আবারো নতুন করে প্রমাণ হয়েছে।
কিন্তু কঠিন সত্য হলো সেটা এখন অতীত। আগামীকাল মাশরাফির দলের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে কী হবে বাংলাদেশের সম্ভাব্য লাইনআপ? আগের দলই বহাল থাকবে?
মানে আবারো সাত ব্যাটসম্যান (তামিম, বিজয়, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির ও নাসির) আর তিন পেসারের সাথে এক বাঁ-হাতি স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ? নাকি একাদশে পরিবর্তন আসবে? তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
ঐতিহ্যগতভাবে লঙ্কানরাও স্পিন ভাল খেলে। মুত্তিয়া মুরালিধরন আর রঙ্গনা হেরাথের মত বিশ্বমানের স্পিনারের দেশ শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদেরও স্পিনে ভাল খেলার সুনাম আছে। তাহলে কি হবে?
সাকিবের সাথে সানজামুলই খেলবেন লঙ্কানদেও বিপক্ষে? না একজন স্পিনার কমিয়ে পেসারের সংখ্যা বাড়ানো হবে? তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। মাঝে হঠাৎ শোনা গেলো, একজন বাঁ-হাতি স্পিনার কমিয়ে সাকিবের সাথে আর একজন অফস্পিনার নেয়া হতে পারে। মানে সানজামুলকে বাইরে রেখে অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
আসলে মিরাজের খেলা নির্ভর করছিল লঙ্কান লাইনআপের ওপর। একাদশে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের একটা বড় বা উল্লেখযোগ্য অংশ ডানহাতি থাকলে সাঞ্জামুলকেই রেখে দেয়ার চিন্তা ছিল। আর বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান বেশি থাকলে বিকল্প চিন্তা- মানে ডানহাতি অফস্পিনারের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা।
এমন হিসেব নিকেশেই এগুচ্ছিল বাংলাদেশ; কিন্তু জিম্বাবুয়ের সাথে প্রথম ম্যাচেই দেখা গেলো কুশল পেরেরা আর উপুল থারাঙ্গা আর নিচের দিকে হার্ডহিটার থিসারা পেরেরা ছাড়া লঙ্কান স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবাই ডানহাতি।
তাই সানজামুলকে রেখেই দল সাজানোর কথা ভাবা হচ্ছিল; কিন্তু ভিতরের খবর, শেষ পর্যন্ত ওই ছক নাও থাকতে পারে। আবহাওয়া, বিশেষ করে কুয়াশা কমে বৃহস্পতিবারের মত রোদ উঠলে টিম কম্বিনেশনের নাটকীয় পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা আছে।
রাতে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে এমন আভাষই মিললো। জানা গেলো, যদি কুয়াশামুক্ত রোদ ঝলমলে আকাশ থাকে, তাহলে সানজামুলকে বাইওে রেখে একজন বাড়তি পেসার খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে জোরেসোরে।
সে কারণেই লাইনআপ আজই চূড়ান্ত করা হয়নি। শুক্রবার সকালের আকাশ দেখেই একাদশ ঠিক করা হবে। যদি আবার ১৫ জানুয়ারির মত ঘণ কুয়াশা পড়ে, তাহলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে দলটি খেলেছিল, ঠিক সেই দলই খেলানো হবে।
আর বৃহস্পতিবারেরমত কুয়াশামুক্ত ও রোদ ঝলমলে সকাল হলে একজন স্পিনার কমিয়ে মানে সানজামুলকে বাদ দিয়ে মাশরাফি, মোস্তাফিজ আর রুবেলের সাথে আরও একজন পেসার খেলানোার চিন্তা চলছে।
সে ক্ষেত্রে আবুল হোসেন রাজু আর সাইফউদ্দিনের যে কেউ ঢুকে যেতে পারেন দলে। জানা গেছে, টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা এরকম। আসলে শুক্রবার সকালের আকাশ, আবহাওয়া আর উইকেট দেখে একাদশ চূড়ান্ত করা হবে।
রোদেলা সকালের দেখা মিললে আর তাপমাত্রা বাড়লে আপনা-আপনি উইকেটে জমে থাকা ময়েশ্চার চলে যাবে। তখন উইকেট সহজ মানে ফ্ল্যাট হয়ে যেতে পারে। তাহলে অবশ্যই সানজামুল বাদ পড়বেন। তখন সাইফউদ্দীন আর রাজুর যে কোন একজনকে নেয়া হবে। যদি তাই হয়, তাহলে শুক্রবারের সম্ভাব্য দল হতে পারে এমন-
তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সানজামুল/সাইফউদ্দিন/আবুল হোসেন রাজু।
খবর৭১/জি: