খবর৭১:ভারত স্বাধীন হওয়ার পরও আজকের মেঘালয় আসাম রাজ্যের অংশ ছিল। ১৯৬৯ সালে ভারতীয় সংসদে আসাম রিঅর্গানাইজেশন অ্যাক্ট পাশ হয়।
তারপরে ১৯৭০ সালে মেঘালয় রাজ্য গঠিত হয়। ১৯৭২ সালের ২১ জানুয়ারি স্বতন্ত্র মেঘালয়ের পথ চলা শুরু হয়। তখন ৩৭ জনের বিধানসভা ছিল। পরে তা বেড়ে ৬০ জনে পৌঁছেছে।
মেঘালয়ে খাসির পাহাড়ি এলাকায় ২৯টি আসন, জয়ন্তীয়ায় ৭টি ও ২৪টি আসন রয়েছে গারো পাহাড়ের অন্তর্গত এলাকায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে একদফায়। তারপরে ভোটের ফল প্রকাশ হবে ৩ মার্চ।
মেঘালয়ের দখল বর্তমানে রয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের হাতে। এখানে বর্তমানে কংগ্রেস ২৪টি, ইউডিপি ৭টি, এইচএসপিডিপি ৪টি, ক্ষমতাসীন বিজেপি ২টি, এনসিপি ২টি, এপিপি ২টি এনইএসডিপি ১টি ও ৯টি আসন নির্দলের হাতে রয়েছে।
২০১৩ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সেখানে কংগ্রেস ২৯টি, ১৩টি নির্দল, ৮টি ইউডিপি ও ১০টি আসন ৫টি দলের মধ্যে ভাগ হয়েছিল।
এবারের দশম রাজ্য বিধানসভা ভোটে মেঘালয়ে মোট ভোটার ১৭.৬৮ লাখ মানুষ। তার মধ্যে ৮.৯৩ লাখ ভোটার নারী। এই প্রথমবার ভোট দিচ্ছে এমন ভোটার ৪৫ শতাংশ।
মোট ৬০টি বিধানসভা আসনে ৩, ০৮২টি পোলিং বুথ থাকছে। তার মধ্যে ৬০টি বুথ যার অর্থ প্রতিটি বিধানসভায় একটি করে পোলিং বুথ পিঙ্ক বুথ হবে। নারীরাই এই বুথের দেখাশোনা করবেন।
এর আগে দুবার নির্বাচনে জয়লাভ করে কংগ্রেসের মুকুল সাংমা সরকার গড়েছেন ও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। শেষবার জেতেন ২০১৩ সালে। তারপরে কেন্দ্রে পালাবদল হয়েছে। কংগ্রেস ক্রমেই হীনবল হয়েছে। এই অবস্থায় মেঘালয়ে কংগ্রেস সরকার গড়তে পারে কিনা তা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে
খবর৭১/জি: