জেনে নিন হাঁটার সুফল..

0
393

খবর ৭১:একুশ শতকে মানুষের কাজের ধরন পাল্টে গেছে অনেকটাই। প্রযুক্তিনির্ভর এ সময়ে কায়িক পরিশ্রমের বিষয়টা অনেকক্ষেত্রেই কমে গেছে।

ডেস্কে যারা কাজ করেন তাদের ব্যায়াম করা হয় না বললেই চলে। সুস্বাস্থ্যের জন্য কায়িকশ্রম বা ব্যায়ামের ওপর জোর দেওয়া জরুরী। আর যদি আপনার উপায় না থাকে তবে হাঁটুন। ব্যায়ামের সময় না পেলেও প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা স্বাস্থ্যহিতকর। এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে দারুন ‘ফিট’ থাকবেন আপনি, সন্দেহ নেই। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যবিষয়ক জার্নালে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায়:
প্রতিদিন হাঁটা হৃদস্পন্দনকে ভালো রাখে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু তাই নয়, হাঁটা শরীরের বাজে কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এর ফলে, হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।

হজম বাড়াতে:
হাঁটা আমাদের হজমের পদ্ধতিকে উদ্দীপ্ত করে। পাকস্থলী থেকে হজমরস বের করতে কাজ করে হাঁটার অভ্যাস। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হয়, বিপাক হার বাড়ে।

আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধ:
প্রতিদিন হাঁটা হাড়ের ক্ষয় কমায়, হাড় শক্ত করে। নিয়মিত হাঁটা অস্থিসন্ধির শুষ্কতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর ফলে, আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধ হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
নিয়মিত হাঁটা আমাদের রক্তের শ্বেতকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এর ফলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেকটা।

ফ্লু প্রতিরোধ:
নিয়মিত হাঁটলে ঠাণ্ডা, ফ্লু ইত্যাদি প্রতিরোধ করা যায়। এর ফলে, অযথাই ডাক্তারবাবদ খরচের হাত থেকে রেহাই পাবেন আপনি।

মানসিক চাপ কমাতে:
মিউজিক শুনতে-শুনতে পার্কে হাঁটা মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে, মন ভালো রাখে। এর ফলে, উদ্বিগ্নতা হ্রাস পায়।

বিষণ্নতা কমাতে:
আপনি কি প্রায়ই বিষণ্নতায় ভোগেন? তবে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। এর ফলে, আপনার বিষণ্নতা কমে যাবে অনেকটাই।

এ ছাড়া নিয়মিত হাঁটা ওজন কমায়, মনকে রাখে ফুরফুরে, সৃষ্টিশীলতা বাড়ায়।

তাই, যদি প্রতিটা দিন সুস্থ্ দেহমন নিয়ে হাসিমুখে যাপন করতে চান, তবে, নিয়মিত হেঁটে যান।

তথ্যসূত্র : বোল্ডস্কাই

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here