খবর ৭১:বাংলা তোষা রিজেকশন (বিটিআর), আনকাট এবং বাংলা হোয়াইট রিজেকশন (বিডাব্লিউআর)- এই তিন ধরনের কাঁচা পাট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সভাপতিত্বে পাট বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানান গেছে, পাটকাঠি থেকে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পর রোদে শুকিয়ে সরাসরি যে পাট পাওয়া যায় তাকে বলা হয় আন-কাট। তাতে ভালো-মন্দ সব অংশই থাকে। তোষা জাতের পাটের খারাপ অংশটুকুকে বলে বিটিআর। সাদা জাতের পাটের খারাপ অংশকে বিডব্লিউআর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পাট আইন-২০১৭’ এর ধারা-১৩ মোতাবেক পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আন-কাট,বিটিআর এবং বিডব্লিউআর নামে কাঁচা পাটের রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে অন্যান্য কাঁচাপাট রপ্তানি যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আশরাফ আলী, অতিরিক্ত সচিব গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য, বিজেএমসি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাটশিল্প উন্নয়ন তহবিল, পাটের বীজ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে বিনামূল্যে কৃষকদের পাটের বীজ সরবরাহ, পাটশিল্প যেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ফান্ডের বৈদেশিক মূদ্রা তহবিল ব্যবহার, এফএসএসপি ফান্ড থেকে ঋণ নেয়াসহ বিভিন্ন বিষয় সভায় আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, আগামি ৬ মার্চ ২০১৮ দ্বিতীয় বারের মত সারাদেশব্যাপি ‘জাতীয় পাট দিবস-২০১৮’ পালিত হবে।
পাটশিল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় নতুন প্রানের সঞ্চার করেছে। পাট শিল্পের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার দেশের অভ্যন্তরে ধান, গম, চাল, ভুট্টা, চিনি এবং সার সহ ১৭টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন রপ্তানী বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে । কৃষক তার পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে।
খবর ৭১/ এস: