যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক চুক্তি

0
397

খবর ৭১:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক পাকিস্তানকে সহায়তা বন্ধের ঘোষণার পরপরই ইরানের সঙ্গে সামরিক চুক্তি সম্পন্ন করল পাকিস্তান। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি এবং পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাসামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রী রানা তানভির তেহরানে এ সহযোগিতা চুক্তিতে সই করেছেন। খবর এমইএইচআর নিউজ এজেন্সির।

রানা তানভিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি বলেছেন, অভিন্ন সীমান্ত ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে পাকিস্তানের বিশেষ স্থান রয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রতিরক্ষাসামগ্রী উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা বিস্তার দুদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এই সহযোগিতা যত বেশি বাড়বে তত বেশি এ অঞ্চলের দেশগুলো প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হবে। দ্বিতীয়ত, পাক-ইরান সামরিক সহযোগিতা যৌথ প্রতিরক্ষা নীতি বা কৌশল জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইরান পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন উৎপাদন, বিমান প্রতিরক্ষা শিল্প এবং বাণিজ্যিকভাবে অস্ত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য ও দক্ষতা অর্জন করেছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানও ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারে। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাসামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রী রানা তানভিরের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির একটি দৈনিক জানিয়েছিল, পাকিস্তান বর্তমানে ৪০টি দেশে অস্ত্র রফতানি করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সহযোগিতা বিস্তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। পাকিস্তান মনে করে, মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা এ অঞ্চলে ইরানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় খুবই জরুরি।

ইরানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতাবিষয়ক চুক্তি সইয়ের পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাসামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রী রানা তানভির বলেছেন, পাকিস্তান ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বিস্তারে ব্যাপক আগ্রহী। পাকিস্তানের সামরিকবিষয়ক বিশেষজ্ঞ জেনারেল তালাআত মাসুদ বলেছেন, ইরান ও পাকিস্তান একে অপরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা অভিন্ন সীমান্তে সন্ত্রাসীদের অবাধ চলাচলের কোনো সুযোগ দেবে না। তাই দুই দেশের সেনাবাহিনী যত বেশি সহযোগিতা ও যোগাযোগ গড়ে তুলবে তত বেশি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার হবে।

ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানির উৎস হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা রক্ষার ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, এ ক্ষেত্রে ইরানের বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বিস্তারের জন্য যাতায়াত পথের নিরাপত্তা খুবই জরুরি।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here