খবর৭১:গত এক বছরে দুই হাজারের বেশি অসত্য ও ভুল তথ্য দিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি প্রতিদিন গড়ে ৫ দশমিক ৬টি হারে অসত্য বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন।
এ ছাড়াও অতীতে দেওয়া বক্তব্য পাল্টে ফেলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার ৩৫৫ দিনে দুই হাজারের মতো অসত্য অথবা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার আগের ও পরের বক্তব্য বা মন্তব্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৫ দশমিক ৬টি অসত্য বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনে এই হার ৪ দশমিক ৯ ছিল জানিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করছে, অসত্য বাক্য ব্যবহারের হার বাড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া এই রকম অসত্য ৭০টি তথ্য তিনি বারবার উচ্চারণ করছেন।
৯ জানুয়ারি অভিবাসন নিয়ে দেওয়া এক ঘণ্টার বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকটি অসত্য তথ্য দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমনঃ এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র ঘিরে দেওয়াল নির্মাণ করা যেতে পারে। ডিভি লটারির ক্ষেত্রে, অভিবাসী বাছাইয়ের সবচেয়ে জঘন্যতম প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করেছিল। অথবা যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করতে একটি দেওয়াল দরকার।
একই বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো সীমান্তে চার বছরে একটি দেওয়াল নির্মাণ করতে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে। আর অভিবাসী গ্রহণে হাই স্কুল ডিপ্লোমা ও নির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্রকে কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন।
এখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা নিয়ে ১৭ বার বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। বিনিয়োগ ও চাকরি নিরাপত্তা নিয়ে ৬১ বারের মতো ট্রাম্প ভুল তথ্য দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
অথচ নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে ট্রাম্প বলেন, ১৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম চাকরির সুযোগ ছিল তখন। মার্কিন কর পরিকল্পনা আইন পাসের আগে সবচেয়ে বড় কর কর্তন আইন বলেও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এ ছাড়াও ডিভি লটারি নিয়ে ট্রাম্প ১২ বার বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন।
খবর৭১/জি: