খবর৭১:বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) মিলগুলোতে প্রায় সাড়ে চার শ কোটি টাকার অবিক্রীত পাটপণ্যের মজুদ রয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অবিক্রীত মজুদ পাটপণ্যের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৪২৭ দশমিক ৫২ মেট্রিক টন। যার মূল্য প্রায় ৪৩৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। অবিক্রীত এ পাটপণ্য বিক্রির লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
একই দলের হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী জানান, পাট রপ্তানির জন্য কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তি নেই। তবু কিছু দেশে পাট ও পাটপণ্য রপ্তানি হচ্ছে, দেশগুলো হলো, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন, আইভরিকোস্ট, এলসালভাদর, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল, রাশিয়া, জিবুতি, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট্র, ইথিওপিয়া ও তিউনিশিয়া।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বস্ত্র ও বস্ত্রজাত দ্রব্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বিগত অর্থবছরে ২৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৯২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
খবর৭১/জি: