নড়াইলের ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের পিটুনিতে ১৭ ছাত্রছাত্রী আহত

0
423

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
তুচ্ছ ঘটনাকে কন্দ্রে করে নড়াইলের ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭ ছাত্রছাত্রীকে পিটিয় আহত করেছেন প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ছাত্রছাত্রীদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালের ওই ঘটনায় ছাত্রছাত্রী অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ওই শিক্ষকের অপসারন দাবী করেছেন। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই দিন বিকাল ৩টার দিকে ৫ম শ্রেণীর ইংরেজি ক্লাস শেষ হওয়ার পর কাকের মুখ থেকে মুরগীর বাচ্চা ছাড়িয়ে আনতে ওই শ্রেণীর ছাত্র রিয়াজুল শেখ, তামিম ফকির ও সাইফুল শেখ স্কুল মাঠের পাশে একটি গাছের নীচে যাওয়ার অপরাধে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম তাদেরকে ডেকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। কিছুক্ষণ পর তিনি তৃতীয় শ্রেণীর নিয়মিত ক্লাস নিতে যান। ক্লাস চলাকালে হাতের লেখার ত্রুটি হওয়ার কারনে ১৪ জন ছাত্রছাত্রীকে স্টীলের স্কেল দিয়ে বেধড়ক পিটাতে শুরু করেন। ওই সময় পাশেই তদন্ত কাজে নিয়োজিত থাকা নড়াগাতী থানার ওসি মোঃ বিলায়েত হোসেন ছাত্রছাত্রীদের আর্তচিৎকার শুনে স্কুলে ছুটে যান। এবং প্রধান শিক্ষকের রোষানল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন। ওই সময় শিক্ষকের পিটুনিতে ১৪ ছাত্রছাত্রীই আহত হয়। আহতদের মধ্যে জাকিয়া খানম, ছালমা, সনিয়া, মুমতারিন ও কিরন গুরুতর আহত হয়েছে। নড়াইলের নড়াগাতী থানার ওসি ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, তিনি আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের মারমুখী ওই শিক্ষকের রোষানল থেকে উদ্ধার করে কালিয়ার ইউএনও ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার ও অভিভাবক বিলাল শেখ সহ ছাত্রছাত্রীরা ওই শিক্ষকের অপসারন ও বিচার দাবী করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিশির বিশ্বাস বলেছেন, তিনি ঘটনার খবর পেয়ে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করেছেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নড়াইলের কালিয়া ইউএনও মোঃ নাজমুল হুদা বলেছেন, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে তদন্তের ব্যবস্থা করেছেন। বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেছেন, তাদেরকে শাসন করার জন্য সামান্য মারপিট করেছি।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here