আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধাঃ
মানবতা বিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যু দ-াদেশপ্রাপ্ত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ঘোড়ামারা আজিজ’র দোসর শোভাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নূরীকে তলব করে সমানজারী করেছেন তথ্য কমিশন।
জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব’র সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিকের দায়েরকৃত ২৯৫/২০১৭ নম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য কমিশনের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান খাঁন, আগামী ২৩ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টায় তথ্য কমিশন কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযোগ শুনানীতে অংশগ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারণ পূর্বক সমনজারী করেছেন। এর আগে তথ্য চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে চাহিত তথ্য না দেয়াসহ কোন জবাব বা কৈফিয়ত না জানানোর ফলে শোভাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও তথ্য প্রদানকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আরটিআই) দেলওয়ার হোসেন নূরীর বিরুদ্ধে আপীল কর্তৃপক্ষ বরাবরে আপীল করে ঐ সাংবাদিক। তথ্য কমিশনের বিধান মতে, আপীল কর্তৃপক্ষ ঐ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ একেএম হাবিব সরকার আপীল বিষয় এড়িয়ে যান। ফলে আরটিআই ও আপীল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ২৫ ধারার বিধান মতে, প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক।
একাধিক সূত্র জানায়, মাত্র ১১ বছর বয়সে দাখিল পাশ, অন্য একটি আলিম মাদ্রাসায় আরবী প্রভাষক পদে চাকরীরতাবস্থায় প্রথম ভারপ্রাপ্ত ও পরে ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ পদধুষ্ঠিত দেলওয়ার হোসেন নূরী একই কায়দায় ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন পদে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নামে হাতানো লাখ লাখ টাকায় কলেজের কোন উন্নয়ন না করে নিজে কোটিপতির বনে গেছেন। তার নামে বেনামে ব্যাংক ব্যালেন্স, বিলাস বহুল বাড়িসহ অঢেল স¤পদের উপর অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী। বর্তমানে মৃত্যু দ-াদেশ প্রাপ্ত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জোট সরকার আমালের এমপি জামায়াত নেতা আবু সালেহ আব্দুল আজিজ ওরফে আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ’র ক্ষমতামলে কলেজটি ডিগ্রী কলেজে উন্নীত হয়। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত শোভাগঞ্জ কলেজ বর্তমানে শোভাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের প্রয়োজনীয় জায়গা জমি না থাকায় কলেজের সীমানা ঘেষে (উত্তর পাশর্^স্থ) কৃষক ইব্রাহিম আলীর জমির তফশীল বর্ণনায় বেশ ক’টি দলিলাদী সৃজন করেন অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন নূরী। এর পর ঐসব কথিত ভুয়া মালিক ও স্বাক্ষীদেরসহ বেশ কিছু লোকজন নিয়ে একটি বাহিনী গঠণ পূর্বক অসহায় কৃষকের জায়গা জমি জবর দখল, পরিবারের,বাড়ি-ঘর, দোকান-পাটে কয়েকদফা হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারপিট, ভাংচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগসহ মিথ্যা মামলায় হয়রাণী করেন। পরবর্তীতে গাইবান্ধার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলা থেকে কৃষক ইব্রাহীম আলীর পরিবারকে অব্যাহতি প্রদান করেন। সম্প্রতি ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগের নামে হাতানো সাড়ে ২৭ লক্ষ টাকার বখরা নিয়ে গভর্নিং বোডির সদস্যরা অধ্যক্ষের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রাখে। কলেজটিকে নিয়োগ বাণিজ্যে পরিণত করে কোটিপতির বনে যাওয়া অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন নুরী ঘোড়ামারা আজিজের আশীর্বাদ পুষ্ট হিসেবে সে সময় দাম্ভিকতা চালান। তার সম্পদের হিসেব নিতে দুদকের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজ্ঞমহল।
খবর ৭১/ ই: