খবর ৭১:যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন সাইমন বাইলস। সম্প্রতি তিনি এই খবর প্রকাশ্যে আনেন।
যুক্তরাষ্ট্র টিমের প্রাক্তন জিমন্যাস্টিক চিকিৎসক ল্যারি নাসার তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন বলেও জানিয়েছেন। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে দলগত, অল রাউন্ড, ভল্ট ও ফ্লর এক্সারসাইজে গোল্ড মেডেল জিতেছিলেন সাইমন।
এ বিষয়ে টুইটারে একটি চিঠি পোস্ট করেন এই ক্রীড়াবিদ। ২০ বছর বয়সি জিমন্যাস্টের কথায়, বেশিরভাগ মানুষ আমাকে হাসিখুশি, প্রাণবন্ত হিসেবে জানে। কিন্তু, কিছুদিন ধরে আমি ভেঙে পড়েছি। মুখ বন্ধ করে রেখেছিলাম। এখন আর আমার জীবনের গল্প বলতে ভয় পাই না। ল্যারি নাসারের হাতে আমিও যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলাম। সত্যি বলছি, মুখে বলার থেকে লিখে প্রকাশ করা অনেক শক্ত কাজ।
তাই, আমি আমার সঙ্গে হয়ে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করতে কুণ্ঠাবোধ করছিলাম। কিন্তু, আমি জানি, এতে আমার কোনও দোষ ছিল না।
সাইমন লেখেন, নাসারের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। অবমাননাকর। আমাকে বিশ্বাস করতে বলেছিল। বেশ কিছুদিন ধরে আমি নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা করছিলাম। প্রশ্ন করছিলাম, আমি কি এতই সাদামাটা? এখানে আমার ভুল আছে? এখন প্রশ্নের জবাব পেয়েছি। না, আমার কোনও ভুল নেই। তাই, কারোর নাম প্রকাশ্যে আনতে আর ভয় পাই না।
অলিম্পিক গোল্ড মেডেলিস্ট আরও লেখেন, আমার বন্ধুদের থেকেও অত্যাচারের কথা শুনেছিলাম। ওদের লড়াই জানতে পেরেছিলাম। তাই, ওদের সাহসী গল্পগুলো আমাকে আরও সাহস জুগিয়েছে। সবশেষে একটা কথা বলতে চাই, হাল ছাড়ব না।
শুধু বাইলস নন। তাঁর টিমমেটস, অ্যালি রেইজ়ম্যান, গ্যাব্বি ডগলাস সহ আরও ১৪০ জন নারী নাসারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন।
উল্লেখ্য, শিশুকে যৌন নির্যাতনের ছবি কম্পিউটারে রাখায় নাসারকে ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মহিলা জিমন্যাস্টদের যৌন হেনস্থার সাজা ঘোষণা এখনও বাকি।
খবর ৭১/ এস: