খবর ৭১:ভারতের হজযাত্রীদের জন্য ভর্তুকি বন্ধ করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই ভর্তুকি তুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মুসলিমদের যে অর্থ ভতুর্কি দেয়া হতো সেই অর্থ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মেয়েদের শিক্ষা ও সার্বিক ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে। এমন তথ্যই জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি মঙ্গলবার জানান, এ বছর থেকে আর হজযাত্রার জন্য ভর্তুকি দেবে না কেন্দ্র। ওই ভর্তুকিতে মুসলিমদের কোনো উপকার হয় না। ভর্তুকি ছাড়াই এ বছর ১ লাখ ৭৫ হাজার মুসলিম হজে যাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে নির্দেশ দেয়, হজযাত্রায় ভর্তুকি দেয়া অসাংবিধানিক। তাই এই ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়া হোক। আদালতের ওই রায় উল্লেখ করে কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল, ধীরে ধীরে ২০২২ সালের মধ্যে হজ ভর্তুকি তুলে দেয়া হবে। তবে হঠাৎ ওই ২০১৮ সালেই তা কেন্দ্রের মনে পড়ে গেলে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিরোধী মহল থেকে।
প্রসঙ্গত ২০১২ সালে কেন্দ্র হজে ভর্তুকি দিয়েছিল ৬৮০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে তা কমিয়ে দেয়া হয় ৪০৫ কোটি টাকা। কারণ ভর্তুকি দেয়া হতো বিমান ভাড়ায়।
এদিকে হজে ভর্তুকি তুলে দেয়া খুশি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোন্যাল ল বোর্ড। সংগঠনের সদস্য কামাল ফরুকি সংবাদমাধ্যমে জানান, হজ ভর্তুকি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছিল। মনে করা হচ্ছিল সরকার মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। এবার তা বন্ধ হবে।
খবর ৭১/ এস: