ফারুক ইফতেখার সুমন, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি-
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বশত ঘরের মাটি খুঁড়ে সোনা ও টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই সোনা ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছ। তবে এ ঘটনায় কাওকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, ১১৯/১ মালিবাগ প্রথম লেন, শাহজাহানপুর, ঢাকার বাসিন্দা কাজী মোক্তার হোসেনের বাসায় প্রায় ৬বছর ধরে কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করতেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে লিমা সিদ্দিকি (১৫)। গত ১৫ ডিসেম্বর মোক্তার হোসেনের স্ত্রী রাহিমা পারভীন রোজী তার বাবার বাড়ি মাদারীপুরে বেড়াতে যান। ২৪ ডিসেম্বর বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় ঢাকার বাসায় ফিরে এসে কিছু জিনিস পত্র বিছানায় এলোমেলো পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি দেখতে পান প্রায় ৩০ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা সহ কিছু প্রসাদনী সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে। পরে ওইদিন বাসার কাজের মেয়েকে অনেক খোজাখোঁজি করে কোথাও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে কাজের মেয়ের প্রতি সন্দেহ হলে ২৬ডিসেম্বর শাহাজানপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। ১১জানুয়ারী কাজের মেয়েকে আসামী করে চোরে যাওয়া জিনিস পত্রের তালিকা দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন মোক্তার হোসেনের স্ত্রী রাহিমা পারভীন রোজী। সেই মামলার সূত্র ধরে ১৫জানুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় এস আই মোস্তাফিজার রহমানের নেতৃত্বে শাহজাহানপুরের থানা পুলিশের একটি দল ঈশ^রগঞ্জ এলাকায় আসেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয় জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামে কাজের মেয়ে লিমা সিদ্দিকীর বাড়িতে। পরে বশত ঘরের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় আনুমানিক ২০ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৪৮ হাজার টাকা। উদ্ধার হওয়া স্বণালঙ্কারের মধ্যে রয়েছে সীতাহার ২টি, কণ্ঠচিক ১টি, হাতের বালা ৩ জোড়া, কানের দুল ৫ জোড়া, আংটি ৫টি, চিকন চেইন ২টি, নাক ফুল ১টি। এসময় লিমা ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় কাওকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদি রাহিমা পারভীন রোজী জানান, কাজের মেয়ে লিমা আক্তার প্রায় ৬বছর ধরে তার বাসায় কাজ করে। খুবই ভক্তি শ্রদ্ধার সাথে লিমা তাকে মা বলে ডাকতো। সেই কারণে লিমাকে তিনি নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসতেন। ঘটনার দিন বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে দীর্ঘ দিনের বিশ্বাস ভঙ্গ করে স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী ও ৫০হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে আসে লিমা। পরে ১৫ জানুয়ারি তিনি লিমাকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, শাহজাহানপুর থানা পুলিশের একটি দলের সাথে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য মামলায় দেয়া তথ্য মতে অনুসন্ধান করে নগদ টাকাসহ কিছু স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
খবর ৭১/ইঃ