খবর ৭১:তীব্র শীত উপেক্ষা করে টানা সপ্তম দিনের আমরণ অনশন কর্মসূচির কারণে ১৭৮ জন ইবতেদায়ি শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তাদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের অনশন কর্মসূচিস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়করণের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক নেতারা এ তথ্য জানান।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অনশনের শিক্ষকদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই নারী। ওইসব মায়ের অনেকের সঙ্গে শিশুরাও আছেন। রাস্তার উপর ও ফুটপাথে অবস্থান করায় বায়ুদূষণ ও শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত নারী-শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবক চিকিৎসকরা স্যালাইনসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর মধ্যে যারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাদের ভ্যান কিংবা রিকশায় করে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেসুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, যত কষ্টই হোক তারা অনশন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে রাস্তায় মরবেন, তবু দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরব না।
তিনি বলেন, আমরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই দাবি থেকে সরে আসব না। আমাদের এত কষ্ট এবং অসহায়ত্ব দেখেও যদি সরকারের সিদ্ধান্ত না বদলায় তাহলে আমরা রাস্তায় না খেয়ে মরে যাব। কিন্তু দাবি আদায় ছাড়া অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসব না।
প্রসঙ্গত, জাতীয়করণের দাবিতে আমরণ অনশনরত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটি বৈঠক করেন। এ সময় তারা সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আলোচনা ও শিক্ষকদের দাবি আদায়ের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু শিক্ষকরা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট আশ্বাস দাবি করেন। সেটা মন্ত্রণালয় দিতে না পারায় আলোচনা শেষে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
খবর ৭১/ ই: