খবর ৭১:চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৭-১৮) রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষের কাছে সুস্পষ্ট ব্যাখা চেয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এ সংক্রান্ত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখার উপসচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত ও জারিকৃত এক সার্কুলারে বলা হয়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়ম ও অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে ভর্তি সম্পন্ন করার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৭-১৮) উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে সাধারণ কোটায় ‘আগে আসলে আগে ভর্তি’ ভিত্তিতে ৫৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে দ্রুততার সঙ্গে ভর্তির বিষয়টি উঠে আসে। এমনকি অনিয়মের মাধ্যমে ভর্তির বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গত ৯ জানুয়ারি ৫৭ শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রমে ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ‘আগে আসলে আগে ভর্তির সুযোগ’ এ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
সম্প্রতি এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের আপিলের বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে জানতে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আকরাম হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
খবর ৭১/ ই: