খবর ৭১:বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও খাদ্যশস্যের দাম কমেছে বলে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দাবি করেছেন, বর্তমানে খাদ্যশস্যের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৭ টাকা কমেছে এবং আটার দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য লুৎফা তাহের। জবাবে মন্ত্রী দাবি করেন, বর্তমানে চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪-৭ টাকা কমেছে এবং আটার দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম জানান, খাদ্যশস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার কোন ভর্তুকি প্রদান করে না। ধান চাল ও গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার স্ব স্ব পণ্যের উৎপাদন খরচের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধান, চাল ও গমের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরে বাজেটে অভ্যন্তরীণভাবে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু গত বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চাল সংগ্রহের অনিশ্চয়তা থেকে খাদ্যশস্য আমদানির লক্ষ্যে বাজেটের নির্ধারিত ৬ লাখ মেট্রিক টনের অতিরিক্ত ৯ লাখ মেট্রিক টন অর্থাৎ সর্বমোট ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সংশোধিত বাজেটের ১৩ দশমিক ৩৭ লাখ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যে এরইমধ্যে ৫ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়। আগামি জুনের মধ্যে অবশিষ্ট চাল চলতি আমন মৌসুম ও আগামি বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা হবে।
এছাড়া এক লাখ মেট্রিক টন গম আগামী এপ্রিল-জুন পর্যন্ত সময়ে সংগ্রহ করা হবে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সদস্য নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ-বছরের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১৫ লাখ মেট্রিক টন চালের মধ্যে ইতোমধ্যে ৭ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশের বন্দরে এসে পৌঁছেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া ৫ লাখ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ৩ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন দেশের বন্দরে এসে পৌঁছেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ভিয়েতনাম থেকে যে চাল আসছে সেটা গ্রহণ করা হবে না। কারণ আইনমন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে একটা সুপারিশ আছে ভিয়েতনামের চাল গ্রহণ না করার।
তিনি আরো জানান, চলতি বছরের মধ্যে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা সম্ভব হবে। এখনো দুই লাখ মেট্রিক টন চাল বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
নিম্ন মানের খাদ্যপণ্য আমদানি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় নিউজ হয়েছে প্রশ্নকারীর এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, নিম্ন মানের খাদ্যশস্যে আমদানির নিউজ যেমন আসছে, তেমনি সেই নিম্নমানের খাদ্যশস্য যে আমরা গ্রহণ করিনি সেই নিউজটাও এসেছে। যে খাদ্যশস্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে, পরীক্ষা করা হয়েছে সেটা মানসম্পন্ন কি না। মানসম্পন্ন না হলে আমরা সেই চাল গ্রহণ না করে ফেরত দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমদানি করা চাল আমাদের পরীক্ষাগারে পরীক্ষিত। পরীক্ষার বাইরে আমরা কোন চাল গ্রহণ করিনি।
খবর ৭১/ এস: