খবর৭১: আলোচিত প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘সরকারকেও বেকায়দায় ফেলতে কিছু কিছু শিক্ষক পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্ন ফাঁস করে দেন। প্রযুক্তি সুবিধাও এজন্য কিছুটা দায়ী।
রবিবার সংসদে সরকারি দলের সাংসদ শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁসকে দেশের দীর্ঘকালের সমস্যা বলেও দাবি করেন।
প্রশ্নফাঁস রোধে সরকার অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগে সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেসে সমস্যা ছিল। এখন সেখান থেকে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো আশঙ্কা নেই। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র জেলা-উপজেলায় পাঠানো হয়, সেটাও নিরাপদ করা হয়েছে।’
ভবিষ্যতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। এক্ষেত্রে শিক্ষকের চাকরি কিংবা পরীক্ষা কেন্দ্রও না থাকতে পারে।
ব্যবস্থাপনাগত বিষয়টির উল্লেখ করে সংসদে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নেওয়া যাবে না। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে গিয়ে সিটে বসতে হবে। তারপর প্রশ্নপত্রের খাম খোলা হবে। এটা পর্যবেক্ষণের জন্য মোবাইল টিমও গঠন করা হয়েছে।’
তবে এমপিওভুক্তির বিষয়টিকে অর্থপ্রাপ্তির ওপর নির্ভর জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘অবশেষে অর্থমন্ত্রী টাকা দিতে রাজি হয়েছেন। শিগগিরই এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা হবে।’
খবর৭১/জি: