নুসিং থোয়াই মার্মা ( বান্দরবান প্রতিনিধি) :
তীব্র শীতের সাথে শুরু হয়েছে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস এর ফলে বান্দরবানে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পেতে অসহনীয় হয়ে উঠেছে বান্দরবান জেলা সহ ৭টি উপজেলা মানুষ।
এর সাথে যুক্ত হয়েছে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা। দুপুরের আগে সূর্যের মুখ সহজে দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ একটু সূর্যের দেখা মেললেও তা আবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। ফলে শীতের কারণে অতিগুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া মানুষ সহজে ঘরের বাহিরে বের হচ্ছে না। অনেকে আবার খড়কুঠো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও পড়েছে বিপদে। লেখাপড়ার কারণে প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যার পর শহরের রাস্তাঘাটগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশী সমস্যায় রয়েছে ছিন্নমুল মানুষের পাশাপাশি সমাজের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। শীত বস্ত্রেও অভাবে কষ্টে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজের তাগিদে বের হতেই হচ্ছে। নিন্ম আয়ের মানুষদের কোন কর্মসংস্থান না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। রিক্সা চালক, অটো চালকরা জানান একদিকে যেমন তীব্র শীতের কারণে ঠিকমত তাদের যান চালাতে পারছে না। তেমনি বেলা বাড়ার আগে বা সন্ধ্যার পরে কোন যাত্রীও পাচ্ছে না। এতে করে চরম কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন তারা। এছাড়াও রয়েছে ঘন কুয়াশার কারণে বড় বড় যানবাহন চালকদের নানা সমস্যা। সামান্য কিছু দুরের রাস্তা দেখতে তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা
অন্যদিকে শীতের প্রকোপে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, আমাশয় সহ নানা ধরণের ঠান্ডাজনিত রোগ। শ্বাস কষ্ট সহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কতৃপক্ষ জানান, গত তিনদিনে বান্দরবানে দেড়শাধিক নারী শিশু ও বয়স্ক মানুষ ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে বেশিভাগই কোমলতি শিশুরা।
বান্দরবান আবহাওয়া অফিস জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে সোমবারে হালকা রোদ উতাপ পেলেও মঙ্গলবারে বান্দরবান সহ আশে পাশের ৭টি’র উপজেলা বিভিন্ন অঞ্চলগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।