খবর ৭১: বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) এক প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশের উন্নয়নে স্বাধীন পর্যালোচনা শিরোনামে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১৮-২০১৯ প্রথম অন্তর্বর্তী পর্যালোচনা বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে সিপিডি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০১৭ সালের শুরুটা যতটা প্রতিশ্রুতিশীলভাবে শুরু হয়েছিল, সেই ধরনের উদ্যোম বা ইতিবাচক পরিস্থিতি শেষ করতে পারিনি। এর প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশ বিগত দশক ধরে একটি শোভন প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে। কিন্তু এই শোভন প্রবৃদ্ধির হারে নিচে অন্ধকার রয়েছে। আর সেটি হলো দেশের ভেতরে প্রবৃদ্ধির তুলনায় সেই হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। দারিদ্র বিমোচনের হার স্রোত হয়ে আসছে। এছাড়া শুধু আয়, ভোগে নয় সবচেয়ে বেশি বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে সম্পদে।’
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘২০১৭ সালটা ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সার্বিকভাবে ২০১৭ সালে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চাপের মধ্যে ছিল। ব্যাংক অস্থিতিশীলতা নিরসনে কোনো পদক্ষেপ ২০১৮ তে হবে সেটার কোনো লক্ষণ আমরা দেখছি না। আমরা দেখছি অপরিশোধিত ঋণ বেড়ে গেছে। করের টাকা দিয়ে পুনরায় তফসিলি করা হয়েছে।’
‘বিভিন্ন ব্যক্তি খাতের ব্যাংকে প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে মালিকানা বদল হয়েছে। নতুন যে ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হয়েছে সেগুলো কার্যকর হতে পারেনি। আমরা দেখছি ব্যক্তি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনাও ঘটছে। ব্যাংকিং খাত দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায় সরকার এখন সংস্কারে আগ্রহী নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি উল্টো একই পরিবারের দুই জনের পরিবর্তে চারজনকে ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগের সুযোগ দিয়েছে সরকার। এতে ব্যাংক হয়ে উঠছে পরিবারকেন্দ্রিক।’ ওই পর্যালোচনায় কোন বিষয়টি আপত্তিকর সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দ্যাটস অল রাবিশ.. রাবিশ..রাবিশ।’