জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ঝড়েপড়া শিশুদের নিয়ে সেকেন্ড চান্স এডুকেশন শিখন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারি সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ। উপজেলায় ২১৩টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ৬ হাজার ৩ শত ৮৩ জন ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিখন কর্মসুচিতে অন্তভূক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি শিখন কেন্দ্রে ১জন করে শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন।ঝড়েপড়া রোধ ও শতভাগ শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে সরকারি অর্থায়নে সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর সহায়তায় এসব কেন্দ্রে ৮-১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছে।সেপ্টেম্বর /২০১৭থেকে চালু হওয়া আরডিআরএস বাংলাদেশ ইতিমধ্যে শিক্ষকদের শ্রেণীভিক্তিক মৌলিক প্রশিক্ষণ, সরকারি বেসরকারি অংশগ্রহণ শীর্ষক প্রকল্প অবহিত করন সভা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে মত বিনিময় সম্পন্ন করেছে।
সর জমিনে কয়েকটি শিখন কেন্দ্র ঘুরে জানা যায়,উপজেলা উত্তর ইউনিয়নের নির্জন হালির হাওর পাড়ে ১নং ওয়ার্ডের ৬টি গ্রামে কোন প্রকার প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।এই ওয়ার্ডে ২০১০সালে নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে এফআইবিডিবি জনসৃলন একটি স্কুল ঘর নির্মান করলেও দুই বছর পর তা বন্দ হয়ে যায়।বর্তমানে স্কুলে নৌ পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে।কোন বিদ্যালয় না থাকায় পিছিয়ে পড়েছে ৬টি গ্রামের ইসলামপুর,স্লুইসগেট, ঝুনুপুর,মোমিনপুর, মাছিমপুর,ইনছানপুর এলাকার শিক্ষার্থীরা।নিয়মিতভাবে স্কুলে পড়তে পারছেনা অনেকেই। এসব গ্রামে ঝড়েপড়া রোধ শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষার আওতায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে আরডিআরএস বাংলাদেশ ৩টি শিখন কেন্দ্র।মোমিনপুর শিখন কেন্দ্রের শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার বলেন এলাকায় স্কুল না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ে যায়।কয়েক কি:মি: দূরে গিয়ে বাচ্চারে পড়তে পারেনা।তাই এনজিও স্কুলের মাধ্যমে তাদের পড়াতে কাজ করছি।এলাকার সমাজ সচেতন ব্যাক্তি আব্দুল মতলিব বলেন একটি ওয়ার্ডের ৬টি গ্রামে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকাতে শিশুদের লেখাপড়া করাতে সমস্যা হচ্ছে।আরডিআরএস পারিচালিত স্কুলে এখন বাচ্ছারা লেখাপড়া করছে।এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,এসব গ্রামে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কোন স্কুল নেই।এনজিও চালিত স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে।
খবর৭১/জি: