খবর৭১: পরমাণু সমঝোতা বা জয়েন্ট কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি হুমকিতে উত্তেজনা এখন চরমে। ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইরানের পারমাণবিক চুক্তিতে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তেহরান।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, জেসিপিওিএ চুক্তিতে কোনো ধরনের সংশোধন মেনে নেবে না ইরান, সেটা এখনই হোক অথবা ভবিষ্যতে। এর সঙ্গে অন্য কোনো ইস্যুকেও মেলাতে দেয়া হবে না।
চুক্তি বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন করে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেড লাইন অতিক্রম করেছে যুক্তরাষ্ট্র।প্রতিশোধের হুমকি দেয়া হলেও কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো ধারণা দেয়া হয়নি।
এদিকে শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ইরানের উপর পরমাণু কর্মসূচি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি চার মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এটি হচ্ছে শেষ সুযোগ। চার মাসের মধ্যে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এছাড়া ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাদেক আমোলি লারিজানি এবং ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি।
মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি হচ্ছে শেষ সুযোগ। আগামী ৪ মাসের মধ্যে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলেও হুমকি দেন। একই সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইরানের ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, তিনি ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক সংকট সমাধানে শেষ সুযোগ দিচ্ছেন। হোয়াইট হাউস চায়, চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক।
সাম্প্রতিক চুক্তি অনুযায়ী, ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালে।
খবর৭১/জি: