জামালগঞ্জ প্রতিনিধি:
জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরের অাভ্যন্তরিন জলাবদ্ধতায় আত্রুান্ত কৃষকদের কানাইখালী খাল খননের দাবীতে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ফেনারবাঁক ইউনিয়নের গঙ্গাধরপুর মাঠে তমাল তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইন্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।সভায় কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইউসুফ অাল আজাদ,ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া, আব্দুল মালিক মেম্বার,জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু,ইকবাল হোসেন মানিক,মো:আখতারুজ্জামান তালুকদার, সেনা সদস্য আবু বক্কর প্রমূখ। জানা যায়, কানাইখালী খাল খনন না হওয়ায় লক্ষীপুর ও মইশাকুড়ি নামক জায়গায় মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়ায় দীর্ঘ একযুগ ধরে সদর, ভীমখালী, ফেনারবাঁক ইউনিয়নের পূর্বাংশের সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর বোর জমির পানি নিস্কাসন হচ্ছে না।এসব এলাকায় স্হায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। চরম বিপাকে আছেন কৃষকরা।ফেনারবাঁক ইউনিয়নের লক্ষীপুর, ফেনারবাঁক, শান্তিপুর গ্রামের লোকজন পরিকল্পিত ভাবে বাঁধ দেওয়ায় সঠিক সময়ে চাষাবাদ ও অতিবৃষ্টির পানি নিস্কাসন হয়না।এতে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এসব বিষয়ে প্রসাশন ও জন প্রতিনিধি দের সাথে দফায় দফায় অলোচনা হলেও কোন সুরাহা হয়নি।তাছাড়া কানাইখালী খাল খননে সরকারি বরাদ্দ হলেও কোন ফলপ্রসু কাজ না হওয়ায় শংকিত হয়ে পড়েছেন তারা। সংসদ সদস্য কে পাশে পেয়ে এসব কথা বলেন ভূক্তভোগি কৃষকগন। তারা সংসদ সদস্য কে হাওরের জলাবদ্ধতার চিত্র দেখান এবং নিরশনে হস্তকেপ কামনা করেন।প্রধান অতিথি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কৃষকদের কথা শুনে বলেন,চলতি বোর মৌসুমে যাতে চাষাবাদ করা যায় তার জন্য ৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি দেন।খাল খননে স্হায়ী সমাধানের জন্য ৭ কোটি টাকার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। পানি নিস্কাসনে যাতে দ্রুত হয় কোন পক্ষ খালে বাঁধ দিতে না পারে প্রসাশন কে নজর রাখার আহব্বান করেন।তিনি হাওর রক্ষা বাঁধের পিআইসিদের সঠিকভাবে কাজ করার কথা বলেন। এসময় উপস্হিত ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার শামীম আল ইমরান,উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার,ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম,সাবেক মুক্তিযোদ্বা কমান্ডার আসাদ উল্লাহ সরকার,আ’লীগনেতা কাজী অাশরাফুজ্জামান,যুবলীগ আহব্বায়ক আবুলখয়ের প্রমূখ।
খবর ৭১/ এস: