মো:অাখতারুজ্জামান তালুকদার, জামালগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় শীতকালীন সবজির ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মূখে হাসি দেখা যাচ্ছে।সবজি চাষাবাদের শুরুতেই নিম্নচাপের প্রভাবে কিছুটা সমস্যা হলেও বাম্পার ফলন হওয়ায় লাভবান হবেন বলে মনে করছেন চাষীরা।জামালগঞ্জ উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর দুই পাড়ের কয়েকটি ইউনিয়নের চাষিগণ বিভিন্ন জাতের শীত কালিন সবজি চাষ করে থাকেন।রামনগর থেকে গজারিয়া পর্যন্ত টানি উর্বর জায়গায় টমেটো,মুলা,লাউ,শীম,মরিছ,ফুলকপি,বাঁধাকপি,ধনিয়া,কিড়া,শশা,ইত্যাদি জাতের সবজির ফলন বেশী হতে দেখা যায়।উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়,উপজেলায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। চাষিদের বীজ সার ও বিভিন্ন পরামর্শ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ফলন ভাল হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে।এবিষয়ে জানতে চাইলে,ফেনারবাঁক ইউনিয়নের
গজারিয়া গ্রামের সবজি চাষি মানিক মিয়া বলেন,বাড়ীর পাশে এক বিঘা জমিতে টমেটো লাগিয়ে ছিলাম।ভাল ফলন হয়ছে।এখন পর্যন্ত ৫০-৩০টাকা কেজী দরে ৭০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রিয় করেছি।খরচবাদে অাশা করি ভাল লাভবান হব।উত্তর ইউনিয়নের মোমিনপুর গ্রামের রহমত অালী ২বিঘা জমিতে উন্নত জাতের টমেটো লাগিয়েছেন।ভাল ফলন ধরেছে।দর ভাল থাকলে লাভ হব।সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের খোয়াজ অালী বলেন, নিজের ৩ বিঘা জমিতে মরিছ রোপন করেছি।বিঘা প্রতি ৩০হাজার টাকা খরচ হবে।অাশা করি ভাল হবে।সাচনা ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামের ফিরোজ মুন্সী লাউ চাষ করেছেন।ভাল ফসল হয়েছে। বাজারে দামও ভাল পাচ্ছেন।গত বছর বোর ফসল হারিয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্য যারা দুই ফসলী চাষাবাদ করেছে তারা কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। এদিকে এক ফসলি বোর চাষিগণ চরম বিপাকে রয়েছেন।হাওরের পানি নিস্কাসন না হওয়ায় চারা রোপন করতে পারছে না।গত বছর এসময়ে যে পরিমাণ ধান রোপন করা হয়েছিল এবছর তা ৪ ভাগের এক ভাগ রোপন করা হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড.সাফায়েত আহমেদ সিদ্দীকি বলেন,শীতকালীন সবজির ফলন ভাল হয়েছে। বোর আবাদ নিয়ে শংখিত অাছি।হাওরের পানি না কমায় কৃষকরা রোপন করতে দেরী হচ্ছে।
খবর ৭১/ এস: