বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু সুমন বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের সুকপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৯ রাউন্ড গুলি ও দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা করে। নিহত দস্যুরা হলো, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভোজপাতিয়া গ্রামের মৃত আ. রহমান শেখের ছেলে মো. জুলফিকার শেখ (৩৫), মো. জাকারিয়া সরদার (৩০) ও মো. খোকন মিনা (৪৩)। অপর দুই দস্যুর বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে সুন্দরবন থেকে বনদস্যুদের লাশ নিয়ে আসলে তা দেখার জন্য উপকুলীয় এলাকার শত শত মানুষ ভিড় জমায়।
র্যাব-৮ এর অপারেশন অফিসার মেজর সোহেল রানা প্রিন্স জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনদস্যু “সুমন বাহিনীর” অবস্থান জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে র্যাব-৮ এর একটি দল সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুখপাড়া চর এলাকায় অভিযান শুরু করে। এসময় বনের ওই এলাকায় একটি আস্তানা দেখতে পেয়ে র্যাব সদস্যরা সামনের দিকে অগ্রসর হলে দস্যুরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। এসময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘন্টাব্যাপী গুলি বিনিময়ের এক পর্যায় দস্যুরা পিছু হটে বনে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ওই তিন দস্যুর মৃতদেহ, ২টি একনালা বন্দুক, ১টি কাটা রাইফেল, ১টি পাইপগান, ৩৯ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ, ৩টি গুলি রাখার বান্ডুলিয়ার, ২টি রামদা ও ২টি ধারালো ছুরি খুঁজে পায়। এছাড়াও দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। এসময় উপস্থিত জেলেরা নিহত তিন ব্যক্তি বনদস্যু সুমন বাহিনীর সদস্য বলে সনাক্ত করেন। তিনি আরো জানান, সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত করতে র্যাব-৮ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাস জানান, থানার তদন্ত পরিদর্শক ঠাকুর দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ নিয়ে বিকালে ফিরে আসে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় র্যাব-৮ এর উপ-সহকারি পরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
খবর ৭১/ এস: