গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বাঁধা গ্রস্থ করতেই ১/১১ : মোস্তফা

0
511

খবর ৭১:
দেশে এখন নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারী দল ও তাদের সহযোগিদের জন্য গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেও বিরোধী দলের জন্য নেই কোন গণতন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রহীন অবস্থায় রাষ্ট্র এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র সকল কিছুই হুমকির মুখে। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী দেশকে রাজনীতিক শূণ্য করার চক্রান্ত্র শুরু হয়েছিল। আজও সেই ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে “১/১১ কালো দিবস স্মরণে” বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বর্তমান সরকার ১/১১-এর সরকারের ধারাবাহিকতারই ফসল। বর্তমান সরকার ১/১১ মত গণতন্ত্র নিয়ন্ত্রন করে নিজেদের অনৈতিক শাসন দীর্ঘস্থায়ী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আজকাল অনেকেই বলেন এক-এগারো নাকি এক গভীর ষড়যন্ত্রের ফসল। কিন্তু, ষড়যন্ত্রটা কি আজও তার রহস্য জাতি যানতে পারে নাই। শুরুতে কিন্তু আওয়ামী লীগ বা তার মিত্ররা একে ষড়যন্ত্র বলেনি, বরং অভিনন্দিত করেছে। কেউ কেউ তো এমনও বলেছেন যে, এক/এগারোর সেই সরকার নাকি তাদেরই আন্দোলনের ফসল! তারপর যে-ই না তারা দুর্নীতিবাজ ধরার অভিযানে নামল, রাজনৈতিক নেতাদের ধরা শুরু করল, আন্দোলনের ফসল পরিণত হলো আগাছায়। আসলে ২০০৭-এর ১১ জানুয়ারির পূর্ববর্তী তিনটি মাস ধরেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যা চলছিল, সেসবই যেন অবধারিত করে তুলেছিল ১/১১-এর আগমনকে।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আরো বলেন, ১/১১ বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারা ব্যাহত করার সংবিধান পরিপন্থি দিন হিসাবে ইতিহাসে কালো দিবস উপলক্ষে চিহ্ণিত হয়ে থাকবে। দেশে আজ যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য দায়ি হচ্ছে সরকারীদল সহ শাসকদলসমূহের আত্ম অহংকার ও একগুয়েমী নীতি। আর তাদের এই একগুয়েমীর কারণে জনগনের কষ্টার্জিত গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে।
তিনি আরো বলেন, সংবিধানের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বাঁধা গ্রস্থ করতেই ১/১১ জেনারেল মঈন উ. আহমদের পরোক্ষ নেতৃত্বে ফখরুদ্দিন আহমদের অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমান সরকার সেই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নামে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এই অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে ব্যর্থ হলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।
ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনি সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহম্মদ মফিজুর রহমান লিটন, ন্যাপ নরসিংদী জেলা সমন্বয়কারী নরসিংদী জেলা সমন্বয়কারী এখলাছুল হক, ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, যুব নেতা আবদুল্লাহ আল-কাউছারী, ছাত্র কেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here