কলাপাড়ায় কলেজ ছাত্র বায়েজীদ হত্যায় দুই সন্দেহভাজন আটক

0
385

রাকিব হাসান:কলাপাড়ার আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র বায়জিদ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ধূলাসার ইউনিয়নের সোহাগ (২০), রুবেল ফরাজী (১৯) নামে দুইজনকে আটক করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত আটটায় উপজেলার বাববলাতলা বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিভিন্ন টেকনোলজি ব্যবহার করে সন্দেহ ভাজন হিসাবে সোহাগ ও রুবেলকে বাবলাতলা বাজার থেকে রাত আটটায় আটক করা হয়েছে। খুনের মুল রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেস্টা চলছে।
এদিকে, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আটককৃত সোহাগ ও রুবেল ফরাজীর দ্রুত বিচারসহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানবন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে উপজেলার বাবলাতলা বাজারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বায়েজীদ হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত সকল খুনিদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করে বক্তব্য রাখেন কলেজ শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম, রাইসুল ইসলাম, রিয়াদ মৃধা, সুরাইয়া আক্তার, সৈকত, হৃদয় প্রমুখ।
উল্লেখ, ২২ ডিসেম্বর বাড়ী থেকে মাত্র ৫কি.মি দুরে গঙ্গামতি ঝাউবনে দুষ্কৃতিকারীরা নির্মমভাবে হত্যা করে কলেজ ছাত্র বায়েজীদকে। পরদিন ঝাউবাগানের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে তার লাশ উদ্বার করে মহিপুর থানা পুলিশ। পটুয়াখালীতে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করা হয় বরিশালে। প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে নিখোঁজ বায়েজিদের সন্ধানে বোন জামাই তাওহীদ মহিপুর থানায় ডায়েরী করতে যায়। সেখানে জনৈক পুলিশ সদস্যের মোবইলে ধারন করা ছবি দেখে বায়েজীদকে সনাক্ত করে।
বায়েজীদের বেয়াই (বোন জামাই তাওহীদের ছোট ভাই) বখতার জানায়, রুমী নামের এক স্কুল ছাত্রীর সাথে প্রেম নিয়ে বায়েজীদকে বিভিন্ন সময় হুমকি দেয়া হত।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here