তীব্র শৈত্য প্রবাহ অব্যহত ॥ আজ দেখা মিলেছে সুর্যের

0
393

খবর৭১:প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শৈত্য প্রবাহ অব্যহত রয়েছে। এক সপ্তাহের শীতে জেলার ৪ উপজেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে। ৫ থেকে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। ইতিমধ্যে দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা। আজ বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় নিম্নতম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে শীতের তীব্রতা না কমলেও সকাল হওয়ার সাথে সাথে সুর্যের দেখা মেলায় জনদূর্ভোগ কিছুটা কমেছে।

চুয়াডাঙ্গায় সপ্তাহব্যপী তীব্র শৈত্য প্রবাহ ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন্টায় ৫-৬ কিলোমিটার বেগে বইছে বাতাস। সেই সাথে ঘন কুয়াশায় দূর্ভোগের মাত্রা আরো একধাপ বেড়ে গেছে। পৌষ মাসের হুল ফোটানো শীতে মানুষ জবুথবু হয়ে পড়েছে। বুধবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে সুর্য্যরে দেখা মিলেছে। ঘন কুয়াশার আড়ালে ঢাকা পড়েছে গোটা এলাকা। ফলে জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তার ধারে অনেকেই খড়, খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। খেটে খাওয়া মানুষেরা কাজে যেতে পারছে না। চাহিদা থাকায় গরম কাপড়ের দোকানে বেচাকেনা বেড়ে গেছে। বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার কমে গেছে। শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে বেড়ে গেছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট, (শিশু রোগ বিভাগ) ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন বলেন,চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। শিশু ওয়ার্ডে ১৫ আসনের বিপরীতে প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন ভর্তি হচ্ছে। তবে চলতি মৌসুমে শীত জনিত রোগে কেউ মারা যায়নি। জেলা প্রশাসশক জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন,শীতার্থ ও দুঃস্থ মানুষের মঝে ইতোমধ্যে ২০ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে ।

খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here