খবর৭১:শিক্ষার্থীদের নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ভারতের অভিভাকরা। এ সমস্যাটি এখন আর কেবল পারিবারিক গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই।
এটি এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গোটা সমাজের শঙ্কা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা গত ৩ বছরে অনেক বেড়ে গেছে। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে ২৬ হাজার ৪৭৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে ভারতের মিনিস্ট্রি অব হোম অ্যাফেয়ার্সে।
২০১৬ সালের পরিসংখ্যানে তো গায়ে কাঁটা দেয়। ওই বছরে আত্মহত্যা করেছে ৯ হাজার ৪৭৪ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, প্রতি ৫৫ মিনিটে একজন নিজেকে হত্যা করেছে। ২০১৭ এর মে মাসে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহনন করে। এর মধ্যে ৬ জন মেয়ে।
মধ্য প্রদেশের একটি অঞ্চলে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে বাজে ফলাফলের কারণে আত্মহত্যা করেছে।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে একের পর এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর আসে। আসলে সব দেশেই আত্মহত্যার পেছনে যে তীব্র মনোযাতনা কাজ করে, তার ধরনটা একই হয়ে থাকে। সব দেশের জন্যেই এটা একই ধরনের সমস্যা। ভারতে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি বাংলাদেশ বা আমেরিকার জন্যেও তা বড় ধরনের সমস্যা। কাজেই প্রত্যেক সমাজের উচিত বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালানো, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ২৬ জন আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এমন আচরণের পেছনে মাদক, বিষন্নতা, পরিবারের ভাঙন, ঝগড়া-বিবাদ কিংবা সম্পর্কে ভাঙনও রয়েছে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়, মহারাষ্ট্র এবং বেঙ্গল সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আত্মহত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া সমাজবিজ্ঞানী সামাতা দেশমানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, সমাজ বদল হচ্ছে। আর সে পরিবর্তনের সঙ্গে অনেক সময়ই মানুষ মানিয়ে নিতে পারছে না। মানুষকে নিয়ে সর্বাধিক প্রাচীন সংজ্ঞাগুলোতেই বলা হয়, আমরা সামাজিক প্রাণী। কিন্তু এখন সামাজিকতা কমে আসছে এবং একা থাকা শুরু করেছে মানুষ। মানুষকে একে অপরের প্রতিযোগী হতে এবং কেবল নিজের বিষয়ে ভাবতেই উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ কারণে তারা অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
খবর৭১/জি: